ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে অন্তত এক সপ্তাহ ধরে এক টিলা থেকে অন্য টিলায় চষে বেড়াচ্ছে পাহাড়ি বন্য হাতির পাল। সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে লোকালয়ে হানা দেয় ফসলী জমিতে, এতে ফসল রক্ষায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে কৃষকরা।
ময়মনসিংহ বন বিভাগ ও কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ী বন্য হাতির দল উপজেলার সীমান্তবর্তী কড়ইতলী, বানাইপাড়া, মহিষলেটি, জামগড়া, ধোপাজুরী, কোচপাড়া, রঙ্গমপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি সীমান্তে প্রায় ৬০ কিলোমিটার সীমান্ত চষে বেড়ায় ৩০-৪০ টি বন্য হাতির দল। এতে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। সকাল গড়িয়ে বিকাল হলেই নেমে আসে লোকালয়ে। নষ্ট করে আমন ধান ও সবজি খেতে। অর্ধেক খেয়ে এবং পা দিয়ে পৃষ্ট করে ধান ও সবজি খেত নষ্ট করে। তখন এলাকাবাসী ফসল ও বাড়িঘর রক্ষা করতে এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে হইহুল্লোড় করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তাতে কোন কাজ হচ্ছে না।
কড়ইতলী এলাকার কৃষক জয়নাল মিয়া বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আমরা আতঙ্কে আছি। সারা রাত জাইগা পাহাড়া দিয়েও ফসল রক্ষা করতে পারতেছিনা। হাতি আতঙ্ক পিছু ছাড়ছেই না। সরকারের কাছে দ্রুত দাবি জানাই আমাদের সীমান্তবাসীকে হাতির তান্ডব থেকে রক্ষা করতে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সুরুজ মিয়া বলেন, হাতি তাড়াতে পরিষদ থেকে এলাকার কৃষকদের বিভিন্ন সময় ডিজেল, টর্চ লাইট দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের গোপালপুর শাখার বিট কর্মকর্তা মো. মাজহারুল হক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হালুয়াঘাটের সীমান্তে হাতির পাল লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এ ব্যপারে সরকারের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়েক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সোহেল রানা বলেন, ‘হাতিকে মারা যাবে না। যদি কোনো কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়, তাহলে তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’