শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ইউসুফ (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চকবন্দি গ্রাম থেকে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। ইউসুফ চকবন্দি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় ওই ভূক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ইউসুফকে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাতনামা আরো দুই জনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় নারী নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি মাদরাসার শিক্ষার্থীকে মো. ইউসুফ কিছুদিন যাবত উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের লোভ লালসা ও প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে ও ফুসলিয়ে ইউসুফের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। সে ওই শিক্ষার্থীকে পুনরায় ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে বিষয়টি শিক্ষার্থী তার মাকে জানায়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামী ইউসুফ ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ভূক্তভোগীর মা থানায় অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ধর্ষনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাই। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামী ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করে ভিডিও ক্লিপটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।