লক্ষ্য মোদের একটাই বেকার সমস্যার সমাধান চাই এ স্লোগানকে ধারন করে শেরপুরে বাংলাদেশ কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যেগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ২৫ নভেম্বর জেলা শহরের আলিশান রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে বাংলাদেশ কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং সেন্টারের শেরপুরের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল লতিফের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন, কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান।
মতবিনিময় সভায় অন্যানোদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব এলাহী, শ্রীবরদি আয়শা-আইনুদ্দিন কলেজের প্রভাষক মির্জা শ্যামল, ইন্দিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন, বাংলাদেশ কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ট্রেনিং সেন্টার শেরপুরের সহকারি শিক্ষক আল মামুন, শিক্ষার্থী এস আই ইমরান, আনিসুর রহমান, শোয়েব হোসেন প্রমূখ। সভায় ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা বলেন, বেকার জীবন কারো কাম্য নয়। বেকারত্ব একটি অভিশাপ। প্রত্যেক বেকার যুবক, যুবতী চায় নিজে উপার্জন করতে।
এছাড়াও সমাজে অনেকেই স্বপ্ন দেখেন বিদেশ গিয়ে উচ্চ বেতনে চাকরী করার। বাংলাদেশ কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ট্রোনিং সেন্টার শেরপুর সেই সুযোগ শেরপুরবাসীকে করে দিয়েছেন। দীর্ঘ এক যুগে এই ট্রেনিং সেন্টার থেকে অনেকেই কোরিয়ায় গিয়েছেন। যারা সবাই একেকজন গর্বিত রেমিটেন্স যোদ্ধা।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশ কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ট্রোনিং সেন্টার শেরপুর শুধু এই জেলাবাসীর গর্ব না। আমরা মনে করি বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের গর্ব। যখন শেরপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। ঠিক এসময় এরকম একটি ভাষা শেখার ট্রেনিং সেন্টার সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। শেরপুর জেলার যেসব যুবক, যুবতিরা বেকার জীবন যাপন করছে। আমরা তাদেরকে বলব সময় ক্ষেপন না করে দ্রুত বাংলাদেশ কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ট্রোনিং সেন্টার শেরপুরে প্রশিক্ষন নিন। এতে করে নিজে যেমন লাখ লাখ টাকা উপার্জন করবেন। তেমনি নিজের পরিবার হবে স্বাবলম্বী এবং দেশ বৈদেশিক রেমেটেন্সে স্বয়ংসম্পূর্ন হবে।
সভায় বাংলাদেশ কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ট্রোনিং সেন্টার শেরপুরের পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, বর্তমানে কোরিয়ার ভাষা শেখাটা খুব সহজ। যে কোন বেকার যুবক যুবতী ৫ থেকে ৬ মাস পরিশ্রম করলে কোরিয়ার ভাষা রপ্ত করতে পারে। এপর্যন্ত আমার ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রায় ৩০ এর অধিক কর্মী কোরিয়ার ভাষা শিখে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা আয় করছে। আমি চাই শেরপুর জেলার প্রত্যেকটি পরিবার থেকে যেন এই সুযোগ পায়। কোরিয়ার ভাষা শেখার পর যারা কোরিয়া যাওয়ার ভিসা পাবে তাদেরকে আমি সকল ধরনের সহযোগীতা করব। কারন আমি দীর্ঘ ৬ বছর থেকে কোরিয়াতে থাকি। সেখানকার সকল পরিবেশ সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা আছে।