শেরপুরে পৃথক ঘটনায় পৃথকস্থানে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সদর, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন, শেরপুর সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নে রামকৃষ্ণ এলাকার মোরশেদ মিয়ার মেয়ে নববধূ মীম (১৯), ঝিনাইগাতী শালচূড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী মায়া আক্তার মৌ (১৪), একই উপজেলার উত্তর ধানশাইলের চকপাড়া এলাকার শহিদুল্লাহর ছেলে দিনমজুর কুতুব উদ্দিন ওরফে বাবুল (১৮) ও নকলা উপজেলার দক্ষিন লয়খার আনারুল ইসলামের স্ত্রী গৃহবধূ অজুফা বেগম (৩০) এবং একই উপজেলার উরফার হাসনখিলা এলাকার আজগর আলীর মেয়ে আছিয়া (১০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে শেরপুর সদরের রামকৃষ্ণ এলাকায় মীম নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে ধর্ণার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
এদিকে, ঝিনাইগাতী শালচূড়া এলাকার মৌ সন্ধ্যা সাতটার বাড়ীতে অন্য কোন লোকজন না থাকায় মৌ তার নিজ পড়ার রুমে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ঘরের ধর্ণার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
একই উপজেলার উত্তর ধানশাইলের চকপাড়া এলাকার বিকেলে দিনমজুর বাবুল বাড়ির পিছনে বৈদ্যুতিক মটর দিয়ে ধানের জমিতে সেচ দিতে যায়। এসময় ছেড়া তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান তিনি।
অন্যদিকে, নকলা উপজেলার দক্ষিন লয়খা এলাকার অজুফা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক সমস্যায় ছিলেন। সকালে নিজের ঘরের শয়নকক্ষের বাঁশের ধন্যার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে অজুফা বেগম। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
একই উপজেলার উরফার হাসনখিলা এলাকার শিশু আছিয়া বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়। পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে নিজেদের পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মানসিক প্রতিবন্ধি ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে স্ব স্ব থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।