রাজধানী ঢাকার উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহের আগ পয়লা গ্রামে মঙ্গলবার রাত ১১ টার পর তাদের দাফন করা হয়।
রাতে নিহত কনে রিয়া মনির খালা ঝর্না বেগম ও তার শিশু সন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি গ্রামের বাড়ি পৌঁছালে ভীড় করে শত শত জনতা। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয় আশপাশের পরিবেশ।
এরপর রাত ১১ টার দিকে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় ঝর্না বেগম ও তার শিশু সন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতের মরদেহ। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার লাউদত্ত গ্রামে জানাজা শেষে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় দাফন করা হয় কনের মা ফাহিমা বেগমের মরদেহ।
নিহতের স্বজনরা জানান, ভাগ্নি রিয়া মনির বিয়ের দাওয়াতে গত বৃহস্পতিবার আগ পয়লা গ্রাম থেকে ঢাকার আশুলিয়া যান র্ঝনা বেগম, তার স্বামী জাহিদ আকন্দ এবং তাদের দুই শিশু সন্তান জাকারিয়া ও জান্নাত।
শনিবার বিয়ে শেষে বাড়ি ফিরে আসেন ইজিবাইক মিস্ত্রী জাহিদ। এরপর সোমবার বৌভাত শেষে আশুলিয়া যাবার পথে তাদের প্রাইভেট কারে রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি’র প্রকল্পের গার্ডার পড়ে নিহত হন ৫জন।
এর মধ্যে ঝর্না বেগমের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহে। আর ফাহিমা বেগমের বাড়ি ইসলামপুর উপজেলার লাউদত্ত গ্রামে।
হঠাৎই এমন মৃত্যুতে হতবাক নিহতদের স্বজনসহ এলাকাবাসী। দুই বাড়িতেই এখন চলছে শোকের মাতম। সরকারের একটি বড় প্রকল্পের কাজে যাদের গাফিলতির কারণে অকালে এই তাজা প্রাণগুলো ঝরে গেলো তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও নিহতদের স্বজনরা।