শেরপুর জেলা শহরের চাঁপাতলী মুহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক উমর ফারুক কর্তৃক ওই মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। আজ বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদের পার্শ্বের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের দাবী, চাঁপাতলী মহল্লার বাসিন্দা সোহেল মিয়া তার শিশু ছেলেকে গত কয়েক মাস পূর্বে ওই মাদ্রাসায় আরবীর ২য় শ্রেণিতে লেখাপড়া করার জন্য ভর্তি করে দেন। ওই মাদ্রাসার শিক্ষক পাশ্ববর্তী বারাকপাড়া মহল্লার জনৈক নাজিম উদ্দিনের ছেলে শিক্ষক উমর ফারুক প্রতিদিনের মত ওই দিন বিকেলে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়ার পর কৌশলে শিশুটিকে তার থাকার কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করে।
এঘটনায় বিকেল ৫টার দিকে এলাকাবাসী বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে এবং মাদ্রাসা শিক্ষক উমর ফারুককে ঘেরাও করে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক উমর ফারুকসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সন্ধ্যায় শিশুটির মা শেরপুর টাইমসকে বলেন, “উমর ফারুক হুজুর আমার বাচ্চাকে ভয় দেখায় বারে বারে। বাসায় যাইয়া কিছু বললে তোমাকে অনেক মাইর দিবো। ছেলে আমারে কিছু বলে না। আইজকা ডাইকা নিয়া, ছাত্র সবারে খেদাই দিয়া, আমার ছেলেরে একলা ঘরে নিয়া হাফপ্যান্ট খুইলা খুব নির্যাতিত করে। এই উমর ফারুক হুজুরের আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম শেরপুর টাইমসকে বলেন, “চাপাতালী মসজিদের এখানে ৭ বছরের বাচ্চাকে ওই মসজিদের এক হুজুর কর্তৃক বলাৎকারের খবর শুনে ফোর্স পাঠিয়ে ভিকটিমসহ অভিযুক্তকে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম শিশু বলাৎকারের ঘটনা বলায় তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে।”