শেরপুরে কানাশাখোলা-অষ্টমীতলা জেলা সড়ককে আঞ্চলিক মহাসড়কের মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের মাঝে ক্ষতিপূরণের প্রায় পৌণে ৪ কোটি টাকার চেক প্রদান ও দখল হস্তান্তর করা হয়েছে।
৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার বয়রা পরানপুর এলাকায় জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ আয়োজিত ওই চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মো. শরীফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদা ইয়াছমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস ও শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্তসহ সুবিধাভোগী ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।পরে হুইপ আতিক ৩৫টি পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৩৯ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদা ইয়াছমিন জানান, শহরের অষ্টমীতলাস্থ বাস টার্মিনাল থেকে কানাশাখোলা পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি উন্নতকরণ ও প্রশস্তকরণ করতে প্রকল্পের অনুকূলে এল.এ কেস নং ৫/১৮-১৯ মূলে ৪.৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় হবে ২৬ কোটি ৯৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩০ টাকা। এর মধ্যে ৩৫টি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৩৯ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি পরিবারগুলোকেও শিগগিরই চেক হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, শেরপুর শহরের অষ্টমীতলাস্থ নতুন বাস টার্মিনাল থেকে কানাশাখোলা পর্যন্ত ২.৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাসুদ হাইটেক কাজটি বাস্তবায়ন করছে।