শেরপুরে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে কৃষি পূণর্বাসর কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বোরো ধান ও সরিষা বীজ এবং সার বিতরন করা হয়েছে। ৬ নভেম্বর সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে তালিকাভুক্ত ৮০০ কৃষকের মাঝে এসব বীজ-সার বিতরন করা হয়।
এসময় ৫০০ কৃষকের প্রত্যেক কৃষককে এক বিষা জমি আবাদ করার জন্য ৫ কেজি করে হাইব্রীড জাতের বোরো ধান বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩০০ কৃষকের প্রত্যেক কৃষককে এক বিষা জমি আবাদ করার জন্য এক কেজি করে উন্নত জাতের বারি সরিষা-১৪, ২০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়। এছাড়া পূণর্বাসন কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক কৃষককে সব্জী চাষের জন্য লাল শাক, পালং শাক, মুল মিস্টি কুমড়া বীজ প্রদান করা হয়। একই অনুষ্ঠানে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ভুট্টা ৫০ জন ভুট্টা চাষীর প্রত্যেককে ২ কেজি হাইব্রীড ভুট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ এমওপি সার বিনামুল্যে প্রদান করা হয়।
বীজ ও সার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুর খামারবাড়ীর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুস সাত্তার। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা, শিক্ষা অফিসার নূর মৃধা, উপকারভোগী কৃষক, ইউপি সদস্যবৃন্দ, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, এসব কৃষি পূনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এতে করে কৃষকরা উপকৃত ও লাভবান হবেন। যা এলাকার খাদ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
শেরপুর টাইমস/ বা.স