শেরপুর জেলায় প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে দাবা লীগ। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের অনুপ্রেরণায় জেলা পুলিশের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা উপ-কমিটির আয়োজনে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে জেলা দাবা লীগের খেলা। মুজিব শতবর্ষ শেরপুর জেলা দাবা লীগ-২০২১ নামে প্রথম বিভাগের মর্যাদাপ্রাপ্ত দাবা লীগের স্পন্সর হিসেবে রয়েছে জেএন্ডএস গ্রæপের প্রতিষ্ঠান আবেদীন হাসপাতাল। প্রথমবার আয়োজিত এ মুজিব শতবর্ষ শেরপুর জেলা দাবা লীগ-২০২১ এ জেলার ৫টি ক্লাব/সংস্থার দল অংশগ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা উপ-কমিটির সম্পাদক হাকিম বাবুল।
তিনি জানান, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি পুলিশের মহাপরিদর্শক দেশে দাবা খেলার বিপ্লব ঘটাতে প্রথমবারের মতো তৃণমুলে অর্থাৎ জেলা দাবা লীগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা পুলিশের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে শেরপুর জেলাতেও দাবা লীগের আয়োজন করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ শেরপুর জেলা দাবা লীগ-২০২১ প্রতিটি দলে ৫ জন করে দাবা খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করে প্রতিদিন ৪টি বোর্ডে চারজন করে খেলোয়াড় খেলায় অংশ নেবে। ম্যাচ পয়েন্টের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়ণশীপ নির্ধারিত হবে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামের মিলনায়তনে লীগের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। খেলায় দলগুলোর জন্য প্রাইজমানি ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও নগদ অর্থ পুরষ্কার প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে খেলোয়াড় ও ক্লাব কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে ৬টি দলকে চুড়ান্ত করা হয়েছে।
এদিকে মুজিব শতবর্ষ শেরপুর জেলা দাবা লীগ-২০২১ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং ১১ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরীকে প্রধান করে উপদেষ্টা পরিষদের অন্য ২ উপদেষ্টা হলেন-জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম এবং স্পন্সর জেএন্ডএস গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদুজ্জামান সাদী। জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা উপ-কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন বাবলুকে আহŸায়ক এবং সম্পাদক হাকিম বাবুলকে সমন্বয়কারি করে গঠিত হয়েছে লীগ পরিচালনা কমিটি।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-জেলা পুলিশের ডিএসবি ডিআইওয়ান মো. আবুল বাশার মিয়া, দাবা উপ-কমিটির সদস্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, দাবা উপ-কমিটির সদস্য খন্দকার নজরুল ইসলাম, আলহাজ¦ মো. খোরশেদ আলম, সৈয়দ রবিউল করিম মনি, ফরিদ আহম্মেদ লুলু, তৌহিদুর রহমান পাপ্পু, মো. সাদেকুর রহমান, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান জেএন্ডএস গ্রæপের জেএন্ডএস এগ্রোভেট মার্কেটিং ম্যানেজার মো. আব্দুস সবুর (শামীম সবুর)।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম বলেন, জেলায় প্রথমবারের মতো দাবা লীগ হতে যাচ্ছে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে জেলা পর্যায়ের ক্রীড়াঙ্গনের স্থবিরতা কাটিয়ে খেলাধুলার আয়োজন হচ্ছে। আমরা আয়োজনটিকে যথাসম্ভব উৎসবমুখর এবং প্রাণবন্ত করতে চেষ্টা করবো।
জেলা দাবা লীগ আয়োজনের প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা লীগ আয়োজনে পুলিশ পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ইতোমধ্যে জেলা দাবা লীগের জন্য স্থানীয়ভাবে স্পন্সর সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথমবার হলেও জেলা দাবা লীগ বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হচ্ছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা উপ-কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল বলেন, জেলা দাবা লীগ দিয়ে আমরা শুরু করছি। পর্যায়ক্রমে ডিএসএ দাবা প্রতিযোগিতা এবং স্কুল দাবা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও দাবা উপ-কমিটির সদস্য মানিক দত্ত বলেন, লীগ আয়োজন নির্বিঘœ করতে ইতোমধ্যে ১৫টি দাবা ঘড়ি ক্রয় এবং খেলার পরিচালক ৪ জন বিচারককে প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। সুষ্ঠু এবং সফলভাবে জেলা দাবা লীগ আয়োজনের সকল কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।