শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রণোদনার অর্থ বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের বাছাই নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্ধে দ্বিতীয় ধাপের ৯৭০ জন উপকারভোগী এই প্রকল্পের টাকা না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে ‘দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটি নেওয়া হয়। উপজেলায় এই প্রকল্পের জন্য ইউএনওকে সভাপতি ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি রয়েছে। প্রকল্পের জন্য ১০জন মাঠকর্মী ও ২জন সুপারভাইজার রয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপে নালিতাবাড়ীতে ১হাজার ৭৩০ জন খামারি প্রকার ভেদে ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে মাঠকর্মীগণের তালিকা অনুযায়ী ৯৭০ জন প্রকার ভেদে প্রণোদনার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত উপজেলা কমিটি গত ১৯ মে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। আলোচনায় ইউএনও ১২ জন চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রসহ প্রতি ৩৫ জন করে মোট ৪৫৫ জনের তালিকা দিতে বলেন।
কিন্ত জনপ্রতিনিধিগণ ৯৭০ জনের তালিকা নিজেরাই করতে চায়। উপজেলা কমিটি এতে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে অনিয়মের অভিযোগ এনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে কাছে আবেদন করেন। গত ২১ জুন একটি তদন্ত কমিটি এসে তদন্ত করে দ্বিতীয়ধাপের টাকা স্থগিত করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবদুস সবুর বলেন, প্রথমধাপে ১হাজার ৭৩০ জনকে প্রণোদনা দেওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তাই আমরা দ্বিতীয়ধাপের তালিকাটা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ করতে চেয়েছিলাম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মতিউর রহমান বলেন, তালিকায় কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি। রাজনৈতিক দ্বন্ধের কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপ ৯৭০ জন খামারি প্রণোদনার অর্থ স্থগিত করে দিয়েছেন।
এ ব্যপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সভাপতি হেলেনা পারভীন বলেন, মাঠকর্মীদের তালিকায় চেয়ারম্যানদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্ত চেয়ারম্যানগণ তা মানেনি।