করোনায় নাকাল পুরো বিশ্ব। আর এ সুযোগে সবাই ব্যস্ত মোবাইল বা কম্পিউটারে। কারণ গৃহবন্দি মানুষের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ দুটো জিনিষ। তাই যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলেও যার মাধ্যমে যোগাযোগের সংযোগ স্থাপন করবে ইন্টারনেট। কিন্তু বর্তমান সময়ে বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথের ব্যবহার। কমেছে ইন্টারনেটের গতিও। ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ায় নানা ধরণের সমস্যা হচ্ছে। এ অবস্থায় শেরপুর জেলাসহ সারাদেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি, সকলক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ বাড়ানো এবং সকল ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবার মূল্য কমানোর দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান করেছে নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটি। সোমবার (২০ জুলাই) সকালে শহরের নিউমার্কেট সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষে এ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চলে।
এসময় জেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকক, ব্যবসায়ী এবং তরুণ ও যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কমসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে।
জনউদ্যোগ আহ্বায়ক শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুর রশীদ, শহর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, জেলা জাসদ সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, সমাজকর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, জেলা উদীচী সভাপতি তপন সারোয়ার, শিক্ষাবিদ-সংস্কৃতি সংগঠক অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া, নারী উদ্যোক্তা আইরীন পারভীন।
বক্তারা বলেন, দেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে। শিক্ষা ও প্রযুক্তি এখন একে অপরের পরিপূরক হয়ে গেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ যখন অভ্যস্ত হতে চলেছে, সেই মুহুর্তে ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া, কম ব্যান্ডইউথ ও ইনটারনেটের অধিক মুল্যের কারণে নানাভাবে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। যা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য অবিলম্বে তারা মননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি, ব্যান্ডউইথ বাড়ানো এবং সকল ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবার মূল্য কমানোর দাবি জানান।
জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির সদস্য সচিব হাকিম বাবুল জানান, এদিন প্রায় ২ হাজার গণস্বাক্ষর সংগৃহিত হয়েছে। মঙ্গলবার এসব গণস্বাক্ষরসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত ৩ দফা দাবিনামা সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করা হবে। তিনি গণস্বাক্ষর কমসূচির সহভাগী তরুণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন আবির্ভাব এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইইডি’র (ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট)সহ অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।