শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামে সমতলে শুক্রবার রাতে হাতির আক্রমণের ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতের মেঘালয় সীমান্তের বারেঙ্গাপাড়া ঝালোপাড়া পাহাড়ে বন্য হাতির পালটি অবস্থান করছিলো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ভারতের মেঘালয় সীমান্তের বারেঙ্গাপাড়া ঝালোপাড়া পাহাড় থেকে ভোগাইনদীর তীর দিয়ে প্রায় অর্ধশত বন্য হাতি উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামে সমতলে নেমে আসে। এসময় ওই গ্রামের কৃষক মুছা মিয়া, জহুর উদ্দিন, শাজাহান আলী, আবু সামা ও বাবু মিয়ার এক একর বোরো আবাদ ও আবু সামার ৩৩ শতক বেগুন খেত খেয়ে ফেলে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে ফেলে। এছাড়া হাতির পালটি গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক নারিকেল গাছের চারা ভেঙে ফেলেছে। পরে এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে রাত তিনটার দিকে হাতির পাল সীমান্ত পার হয়ে ভারতে অবস্থান নেয়।
বর্তমানে হাতির পালটি মেঘালয় সীমান্তের বারেঙ্গাপাড়া ঝালোপাড়া পাহাড়ে অবস্থান করছে। সন্ধ্যার পর আবারো হাতির পালটি এলাকায় হানা দিতে পারে বলে গ্রামবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
কালাকুমা গ্রামের কৃষক মুছা মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত থেকে প্রায় ৪০- ৫০টা হাতির দল আমাদের গ্রামে নামে। আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি করে। পরে গ্রামবাসী সবাই মিলে মশাল জ্বালিয়ে শেষ রাতে দিকে হাতি তাড়িয়েছি।
রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালাতে রাতেই কেরোসিন তেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষয় ক্ষতির বিষয়টা উপজেলা ইউএনও স্যার কে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান বলেন, হাতি আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ই্উপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি দেখে সহায়তা করা হবে।
উল্লেখ, গত ২০ মার্চ উপজেলার পুড়াগাও ইউনিয়নের পশ্চিম শমশ্চুড়া কোচপাড়া গ্রামে বন্য হাতি আক্রমণ চালিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি করে।