জামালপুরের মেলান্দহের মাহমুদপুর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক ও এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের একজনকে শিক্ষার্থীদের বুকের উপর দিয়ে হেটে যাওয়ার ঘটনা তদন্ত হয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারী তদন্ত টীমের প্রধান মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হেঁটে যাওয়া ব্যক্তির নাম দিলদার হোসেন প্রিন্স মিয়া। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন কর্মী এবং স্কুলের জমিদাতা পরিবারের একজন।
শিক্ষার্থীদের বুকের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ফুঁসে ওঠেছে অভিভাবকসহ সূধি মহল। বেকায়দায় পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য অতিথিরাও। ছবিতে প্রিন্সকে ছাত্রদের উপর দিয়ে হেটে যেতে সহায়তা করছেন-ওই স্কুলের ফিসিক্যাল মাস্টার হাফিজুর রহমানসহ আরো কয়েকজন। এতেই শেষ নয়, অতিউৎসাহীদের মোবাইলে ভিডিও-স্টীল ছবি তুলতেও দেখা গেছে।
প্রধান শিক্ষক আসালত জামান বিএসসি জানান-গত ২৮/২৯/৩০ জানুয়ারী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক ও এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জন কেনেডি জাম্বিল, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসান শেলী, আ: লতিফ রেজা, দাতা পরিবারের দিলদার হোসেন প্রিন্সসহ স্থানীয় গন্যমান্যদের অতিথি করা হয়।
স্কুলের সভাপতি-সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাঈদ সাদা জানান-অনুষ্ঠানে ইউএনও জন কেনেডি জাম্বিল ও ইঞ্জিনিয়ার শেলী ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন। প্রিন্সকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ডাকেন নি। স্কাউটস সদস্যরা তাঁকে ধরে এনেছেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ২৯ জানুয়ারী শিক্ষাথীদের দিয়ে তৈরী মানব সেতুর উপর দিয়ে প্রিন্স মিয়াকে হাঁটিয়ে নেয়ার হয়। ৩০জানুয়ারী ছিল এসএসসি পরিক্ষার্থী ও শিক্ষক আ: লতিফ সাহেবের বিদায় অনুষ্ঠান।
ইউএনও জন কেনেডি জাম্বিল জানান-বিষয়টির উপর জেলা প্রশাসক মহোদয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তদন্ত কর্মকর্তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল বলেন-তদন্ত করেছি। স্কুলের অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম না। দাওয়াতপত্রে আমাকে গেস্ট করা হয় নি। অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল করিম জানান-এ বিষয়ে থানায় কেও অভিযোগ করেন নি।