দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে শেরপুরের শ্রীবরদীর সীমান্তে বাড়ছে মাদক কেনাবেচা। বাড়ছে মাদক কারবারিদের আনাগোনা। এতে শংকিত সীমান্তবাসীসহ সচেতন মানুষরা।
জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাবেলাকোনা, কুমারগাতি, হারিয়াকোনা, খারামোরা, বালিজুরি, খ্রীষ্টানপাড়া, চান্দাপাড়া, ঝুলগাও, বকুলতলাসহ প্রায় ২০টি গ্রাম। এসব গ্রাম ঘেঁষা ভারতের সীমানা পোড়াখাশিয়া। সূত্র জানায়, ভারতের আসাম থেকে পোড়াখাশিয়া হয়ে আসছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল ও অফিসার চয়েজসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাদকদ্রব্য। মাঝে মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে মাদকদ্রব্যসহ আটক হচ্ছে। তবে মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে এসে আবারো জড়াচ্ছে পুরনো ব্যবসায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, কর্ণঝোড়ার বিপ্লব ও ভায়াডাঙ্গার আল আমিনসহ অনেকে লেনদেন করছে হুন্ডি। মাদক ব্যবসায়ীরা এসব হুন্ডির মাধমে ভারত থেকে নিয়ে আসছে মাদক দ্রব্য। বেচাকেনা হচ্ছে ওইসব গ্রাম গুলোতে। মাদক বিক্রি নিয়ে বিরোধে সম্প্রতি হুন্ডি ও মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। সম্প্রতি দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে বাড়ছে মাদক কেনাবেচা। এ নিয়ে কর্ণঝোড়া বাজারে মাদক বিক্রি ও নিয়ত্রণের প্রতিবাদে সম্মেলন করেন সিংগাবরণা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় সচেতন মানুষরা।
সিংগাবরনা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরল ইসলাম বলেন, চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার কারণে বিএসএফের গুলিতে কয়েকজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। মাদক দ্রব্য কেনাবেচার কারণে উঠতি বয়সের ছেলেরা এখন মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ছে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রহুল আমিন বলেন, এসব মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানান প্রতিবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন মানুষরা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে পুলিশ কুমারগাতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২ কেজি গাঁজাসহ আলেক ও আলআমিন নামে দুই সহোদর ভাইকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন শেরপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন। তিনি এসব মাদকসহ দুইজনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শেরপুরের জন্যে এটি একটি বড় সাফল্য। মাদক নির্মূলে আমাদের অভিযান অব্যাহত। তবে সীমান্ত এলাকায় কোনো তথ্য পেলে আমরা সাথে সাথেই অভিযান পরিচালনা করবো।