শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দারুল উলুম ডেফলাই আল আকসা মাদ্রাসায় গত ১২ মে (মঙ্গলবার) দিবাগতরাত সাড়ে দশটার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে ওই মাদ্রাসার ৭২ ফুট লম্বা একটি টিনসেড ঘর, ৭০ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাউপকরণ, আসবাবপত্র, ১৫টি ফ্যান, ২টি আইপিএস, ৩টি সোলারসহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়। পরে পুনারায় মাদ্রাসার ঘর নির্মাণে সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের নিকট সহযোগিতা চান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।
গত ১৩ মে উপজেলার তরুণ সাংবাদিক, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী জাহিদুল হক মনির মাদ্রাসার ঘর নির্মাণের জন্য তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘সাহায্য চাই’ শিরোনামে একটি সচিত্র স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি তার ফেসবুক বন্ধু ও সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন।
এ স্ট্যাটাস দেখে গত ১৪ মে নিউজার্সিতে অবস্থিত জার্মানির একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির ফার্মা বিভাগের রিচার্ড ও ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এবং প্রধান গবেষক জাফর ইকবাল, সাংবাদিক মনিরের মাধ্যমে মাদ্রাসার পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং একটি আধাপাকা ঘর নির্মান ও শিক্ষাউপকরণসহ যাবতীয় মালামাল ক্রয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন বলে জানান। জাফর ইকবাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগ থেকে অনার্স ও মার্স্টাস করেন। পরে নিউইয়র্কের লং আই ল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ওষুধ বিজ্ঞানে ডক্টোরেট ও পরে এমবিএ করেন। বিজ্ঞানী হয়েও তিনি পেশায় একজন ফার্মাস্টিট যিনি নিজের ফার্মেসিতেই অন্যান্য ফার্মাসিস্টদের সঙ্গে কর্মরত রয়েছেন। গত ২০ মে (বুধবার) জাফর ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।
শুক্রবার সকালে পুড়ে যাওয়া মাদ্রাসা ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ সময় মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি আলহাজ্ব ফমির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এমদাদ, জমিদাতাদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন ও আবুল হোসেন, মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, সমাজসেবক কোরবান আলী, মানবাধিার ও সমাজকর্মী জাহিদুল হক মনিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য বক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসার ঘর নির্মাণসহ যাবতীয় মালামাল ক্রয়ে দানবীর ও শিক্ষানুরাগী জাফর ইকবাল পর্যায়ক্রমে এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন।’