অতঃপর নারী
– নুসরাত জাহান শাম্মী
সুপ্তমনে উত্তপ্ত নব্য কিশোরীর প্রশ্ন-
আচ্ছা মেয়ে বলা কি খুব বেমামান,
মেয়ের পর মানুষ বলে কেন?
অতঃপর মেয়ে মানুষ-
বাইরে যেতে নেই,
বেশি বলতে নেই,
বেশি বুঝতে নেই!
ওহে, কথার অন্ধকারে বেঁধে না রেখে বলে দাও-
বাঁচার মতো বেঁচে থাকার নিয়ম এ সমাজে নেই।
তোমার সমাজে শিক্ষিত তুমি-
মেনে নিয়েছো, নারী-পুরুষ সমান অধিকার।
প্রশ্নটা যখন অধিকারের,
তুমিই বলো- খুব কি দরকার?
অতঃপর মেয়ে মানুষ,
ছোট্ট পরিধি তবু স্বপ্ন আকাশ সমান;
বিয়ে তো দিতেই হবে,
সমাজের চোখে মেয়ের ডানা কাটার এটাই সমাধান!
ঘরের বৌটাকে হেয় প্রতিপন্ন তুমি বলো-
বুঝো বলতে কেবল তো এই সংসার, কোথায় নেই আজ নারী?
অতঃপর ঘর থেকে পা ফেললেই, সেই তুমিই মুখ বাঁকিয়ে বলে ওঠো-
নষ্টা হওয়া খুব কি জরুরী?
এ সমাজে,
নারী মানেই অবলা,
নারী মানেই অসহায়,
প্রশ্নটা যখন সমান অধিকারের;
মেনে নেওয়ার স্থানটা কেবল বইয়ের পাতা।
তুমি পুরুষ কখনো স্বামী,
কখনো ভাই,
আর তুমিই পিতা;
তবু সমাজে ধষর্ন কেন?
কেনবা কিছু মেয়ের নাম হয়ে ওঠা ধর্ষিতা?
সময় টা যখন ২১ শতক,
আধুনিকতার সাথে বিজ্ঞান-ই হাতিয়ার
সকল পারা জানা সত্ত্বেও আমি নারী না পারারই অবতার।
শত অভিযোগ, আবদার আর ইচ্ছা লুকিয়ে আমি হাঁসতে জানি,
হুম আমি হাঁসতে পারি।
অতঃপর নারী।
নারীবাদ, নারী অধিকার, নারী শিক্ষা
এসব তো শিক্ষিত নির্মাতা বই আর সাহিত্যে পরিণত;
বাস্তবতায় নারী জীবন সে তো অজানা ছিল আর আজও অপ্রকাশিত।
শত অভিযোগ, আবদার আর ইচ্ছা লুকিয়ে আমি হাঁসতে জানি,
হুম আমি হাসতে পারি।
অতঃপর নারী।
(নুসরাত জাহান শাম্মী, শিক্ষার্থী, একাদশ শ্রেণি)
(শেরপুর টাইমস ডট কমের “সাহিত্য পাতা” সকলের জন্য উন্মুক্ত। আপনার স্বরচিত ছড়া- কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশের জন্য ইমেল করুন sherpurtimesdesk@gmail.com এই ঠিকানায়।)