শেরপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রবিবার (১৮আগস্ট) সকালে শহরের গৃর্দ্দানারায়নপুর মহল্লার একটি বাসায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মূল আসামি পলাশ পোদ্দার পলাতক রয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে আজ দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শেরপুর শহরের গৃদানারায়ণপুর এলাকার সোহানুর রহমান (৩০) ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৮)। মৌসুমি আক্তারকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বক্তব্যে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির মা স্থানীয় একটি ক্লিনিকে সেবিকার কাজ করেন। ছাত্রীটি তার মা’র সঙ্গে শেরপুর শহরের গৃর্দ্দানারায়নপুর মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে। ছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতিতে একই বাসার ভাড়াটিয়া সোহানুর রহমান ও মৌসুমি আক্তার দম্পতির সহযোগিতায় পলাশ পোদ্দার নামে এক ব্যক্তি ছাত্রীটির বাসায় প্রবেশ করে চাকুর ভয় দেখিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত পলাশ পলাতক রয়েছে। পলাশের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা গ্রামে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার দুই আসামীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মূল আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।