শেরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ মামলার রায়ে এক যুবকের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন শিশু আদালত। ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন। সাজাপ্রাপ্ত সোবাহান উদ্দিন জিহান শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শিক্ষার্থী। আদালতে তার উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করা হয়। রায়ে আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জিহানের বাবা হানিফ উদ্দিন, মা বিনা বেগম, বন্ধু মজনু মিয়া ও বান্ধবী ছোঁয়া বেগমকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
শিশু আদালতের পিপি (সরকারিী কৌসুলী) অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিন ভিকটিম এসএসসি পরীক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অপহরনের অভিযোগ করেন তার বাবা। এ ঘটনায় নবীনগর এলাকার সোবাহান উদ্দিন জিহান এবং তার বাবা-মা ও দুই বন্ধু সহ ৫ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু ওই বছরের ২২ এপ্রিল বিচারিক আদালতে ভিকটিম সহ আসামীরা আত্মসমর্পন ঘটনাটি অপহরণ নয় প্রেমঘটিত বলে উল্লেখ করে জামিন প্রার্থনা করেন। ভিকটিম বিচারিক হাকিমের আদালতে তার পিতামাতার হেফাজতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আদালত তাকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ফরিদপুরের সেইফ হোমে পাঠায়। এরপর থেকে ভিকটিম ওই সেইফ হোমেই রয়েছে।
এদিকে, সদর থানা পুলিশ ২০১৫ সালের ১ আগস্ট ওই মামলায় জিহান সহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলার পর্যায়ে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার শিশু আদালতের বিচারক সোবাহান উদ্দিন জিহানকে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমান আইনের ৭ ধারায় অপরনের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ ঘোষনা করেন। অপর চার আসামীকে খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপীল করা হবে।