গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ব্রহ্মপুত্র নদের ঢলের কারণে ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী নামে খ্যাত মৃগী নদীর পাড় ভাঙনের ফলে নকলা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে বিস্তৃর্ণ অঞ্চলের শাতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ, বহু গাছপালা ঘর বাড়ি, ফসলের মাঠ ও রাস্তাঘাট নদীতে বিলিন হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চকবড়ইগাছী ও বাছুর আলগা এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে মৃগী নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছে। এতে আফাজ উদ্দিন, আছিয়া বেগম ও দুলালের বসত বাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় তারা এখন পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। চরমধুয়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের বাড়ির দক্ষিণপাশের্^ প্রায় আধা কিলোমিটার মৃগী নদীর পাড় ভাঙনে ১০ একরের অধিক গাছপালাসহ ফসলের মাঠ নদীতে বিলিন হয়েছে। চরমধুয়া নামাপাড়া এলাকায় প্রায় ৫০টি পরিবার মৃগী নদীর পাড় ভাঙনের ফলে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঐ এলাকার ফয়জাল, কালাচান, কাদীর, আঙুর, সোহেল, রমজান ও প্রতিবন্ধী শহিদুল ইসলামের বাড়ি সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানেও নদী ভাঙন অব্যহত রয়েছে। নদী পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
এব্যাপরে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী জানান, মৃগী নদী ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা দেলোয়ার ও আল আমিন জানান, বালু ভর্তি বস্তা ফেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধে চেষ্টা চলছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, ইতিপূর্বে মৃগী নদীর ভাঙন কম হলেও গত দুই বছর যাবৎ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বিপুল পরিমাণ বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার ক্ষতিগ্রস্থ কিছু কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থদের পুনঃবাসন বা কোন প্রকার সরকারি সাহায্য প্রদান করা হয়নি বলে জানা যায়।