ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম কোরবানীর ঈদ। রাত পেরোলেই ঈদ। আর তাই ব্যাপকহারে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানীর ফ্রিজ ও ডিপ ফ্রিজ। বলা চলে ফ্রিজ বিক্রির ধূম পড়ে গেছে। বিশেষ করে বড় ডিপযুক্ত ফ্রস্ট ফ্রিজ এবং ডিপ ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে বেশি। ঈদে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানির পশু কেনাতে মনোযোগ থাকে সামর্থ্যবানদের।
এর পরেই নতুন পোশাকের পাশাপাশি মানুষের আরও বেশি আগ্রহ থাকে ফ্রিজে। বিশেষ করে যাদের ঘরে পণ্যটি নেই। তাই ঈদে কেনাকাটার তালিকায় অনেকের কাছেই কোরবানির পশুর পর দ্বিতীয় চাহিদায় থাকে ফ্রিজ। এমন ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন অফার দিয়েছে ফ্রিজ কোম্পানিগুলোও।
বিভিন্ন কম্পানির শো-রুম ঘুরে দাম পরখ করে সবাই সেরা পণ্যটিই কিনছেন পরিবারের জন্য। ফলে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শহরের ওয়ালটন, মারসেল, এলজি বাটারফ্লাই সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক শো-রুমে বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কেনা-বেচা জমে উঠেছে এই সময়টায়।
ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার জানান, এবার ঈদে নতুন নতুন মডেল, আকর্ষণীয় ডিজাইন ও কালারের রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার নিয়ে এসেছে ওয়ালটন। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। এর পাশাপাশি টেলিভিশন, মোবাইল ফোন সেট, এসি এবং ওয়ালটন হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রিও আশানুরূপ।
কথা হলো আকবর হোসেনের সঙ্গে। তিনি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনতে এসেছেন। জানালেন, প্রতিবেশী সবার ঘরেই ওয়ালটন ফ্রিজ। ভালো সার্ভিস দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। তাদের পরামর্শে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনছি। একই শোরুমে আসা আমেনা বেগম জানালেন, তিনি ওয়ালটনের ফ্রিজ ব্যভহার করছেন। এখন ঈদ উপলক্ষ্যে একটি ডিপ ফ্রিজ কিনতে এসেছেন।
এদিকে বিভিন্ন বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণ এবং গরম আবহাওয়ার কারণে এবার ব্যাপকহারে ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ইলেক্টনিক শোরুমগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। প্রোডাক্ট বিক্রি এবং সরবরাহ করতে বিক্রেতাদের গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানালেন, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পণ্যের মান আরো উন্নত হওয়ার ফলে দেশের বাজারে ফ্রিজের চাহিদা ব্যাপকহারে বাড়ছে।