শেরপুরের শ্রীবরদীতে ৪৯ জন ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার বিকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে খড়িয়া কাজির চর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শেরপুর জেলা প্রশাসক ডক্টর মল্লিক আনোয়ার হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি নিকৃষ্টতম কাজ। বাংলাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসনে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এরই আওতায় শেরপুর জেলায় প্রায় ৩ হাজার ভিক্ষুকের তালিকা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকুরীজীবিদের একদিনের বেতন দিয়ে ইতিমধ্যেই কিছু ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে শেরপুর জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে।
খড়িয়া কাজির চর ইউপি চেয়ারম্যান এ.ডি.এম শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার এ.টি.এম জিয়াউল ইসলাম ও ইউএনও সেঁজুতি ধর। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারুক আল- মাসুদ, জেলা পরিষদ সদস্য ও খড়িয়া কাজির চর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আব্দুল খালেক, কুড়িকাহনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূর এ আলম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভেলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিঞা মো. মিজানুর রহমান, কেকের চর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুলাল আল জাহান সরকার, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, ইউপি সদস্যবৃন্দসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন।
এসময় উপজেলার ভেলুয়া, কেকের চর, কুড়িকাহনীয়া, গড়জরিপা ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৪৯ জন ভিক্ষুকদের মাঝে ১টি টং দোকান ঘরসহ ২ হাজার টাকা, ৬ জনকে সেলাই মেশিন, ৫ জনকে ১ টি করে ছাগল, ২২ জনকে ৫ টি হাঁস ও ৫ টি মুরগি বিতরণ এবং ১৫ জনকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার করে টাকা ঋণ প্রদান করা হয়।