শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নের ৬৯ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্তরে এ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
এর মধ্যে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের ২১০জন, নন্নী ইউনিয়নের ৭৫জন, নয়াবিল ইউনিয়নের ৬০, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ১০৫জন, কাকরকান্দি ইউনিয়নের ১৩৫জন, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের ৩০জন, রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের ৪৫জন, বাঘবেড় ইউনিয়নের ৩০জনসহ মোট ৬৯০জন কৃষক আউশ চাষে প্রণোদনা পায়।
কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক(ডিডি) মো: আশরাফ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা জিয়াউল হোসেন মাস্টার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আছমত আরা আছমা, পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দীক, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরুনী,এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফ ইকবাল শেরপুর টাইমসকে বলেন, খরিপ-১/২০১৮-১৯ মৌসুমের আউশ ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৬৯০জন কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা প্যাকেজের উপকরণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্য থেকে ৫৪০জন কৃষককে উফশী আউশ ধান আর ১৫০জন কৃষক নেরিকা আউশ ধান চাষের জন্য প্রণোদনা পায়।
এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন কৃষক প্রতি বিঘা আউশ ধান আবাদের জন্য ৫ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং সেচের খরচ বাবদ ৫০০ টাকা প্রণোদনা পাবেন।
আর প্রতিজন কৃষক প্রতি বিঘা নেরিকা ধান আবাদের জন্য সমপরিমাণ উপকরণের সাথে আগাছা দমনের জন্য ৫০০ টাকা পাবেন। বীজ ও সার কৃষককে সরাসরি নিজে এসে গ্রহণ করতে হবে। আর আগাছা দমন ও সেচ সহায়তা বাবদ অর্থ সংশ্লিষ্ট কৃষকের নিজস্ব মোবাইলে ব্যাংক একাউন্ট (রূপালি ব্যাংক লি. এর শিউর ক্যাশ) এর মাধ্যমে স্থানান্তর করা হবে।