শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা ও ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আহত করার দায়ে দুই কলেজ ছাত্রকে ৫ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। আজ দুপুরে শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোসলেহ উদ্দিন এ সাজার রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা শেরপুর সদর উপজেলার হাওড়াপাড়া গ্রামের আশেদ আলীর ছেলে আরিফ মিয়া ও একই গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে লাল চাঁন মিয়া। রায়ে একইসাথে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে ২ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষনা করা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে পিপি জানান, অনার্স পড়–য়া কলেজ ছাত্র আরিফ মিয়া একই গ্রামের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রলোভনে ব্যর্থ হয়ে তার সহযোগী লালচাঁনকে সাথে নিয়ে ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বসতঘরে প্রবেশ করে তাকে ঝাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
স্কুলছাত্রী সেসময় ঘুম থেকে জেগে নিজের শ্লীলতাহানি রক্ষার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আরিক তার হাতে থাকা ডেগার দিয়ে স্কুলছাত্রীকে আঘাত করে। স্কুলছাত্রীর ডাক-চিৎকারে বাড়ীর লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষন চেষ্টাকারী আরিফ ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মামা বাদী হয়ে আরিফ ও লালচাঁনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,, আসামীরা অনার্স পড়–য়া শিক্ষার্থী হওয়ায় বয়স ও সার্বিক বিবেচনায় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) খ/৩০ ধারায় (ধর্ষণ চেষ্ঠা ও পরষ্পর যোগসাজসের অভিযোগ) সর্বনিন্ম সাজা ঘোষণা করেছেন।