চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে করোনা মহামারী নিয়ে নতুন উদ্বেগের কথা শোনা যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের একটি ধরন ওমিক্রন। ওমিক্রনের একটি উপ-ধরন বিএ৫। বিএ৫- এর একটি উপ-ধরন বিএফ৭। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে এই নতুন উপ-ধরন শনাক্ত হয়েছে। বিএফ৭ অন্য যে কোনো উপ- ধরনের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মধ্যে। এটিই উদ্বেগের কারণ।
ইতোমধ্যে নতুন ধরনের সংক্রমণে চীনসহ বিভিন্ন দেশে করোনা রোগী বাড়ছে। বিএফ-৭ নামের এই নতুন ধরন ওমিক্রনের চেয়েও চারগুণ বেশি সংক্রামক বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ধরন কম সময়ের মধ্যে রোগীকে আক্রান্ত করে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, করোনার নতুন ধরন ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। তাই দেশের সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আইসোলেশনে নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার জেনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এই বিএফ-৭ করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা- তা পরীক্ষা করতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
মূলত নতুন ধরনের করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে পারেন। তাই আমাদের প্রথম কর্তব্য হবে বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং বৃদ্ধি ও আগত ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন দেশের ভেতরে কোনো মানুষের সঙ্গে মেলামেশা না করতে পারেন। প্রবেশপথে শনাক্ত করতে না পারা ও ঢিলেঢালা কোয়ারেন্টিনের কারণেই ডেল্টা ও ওমিক্রন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের ভেতরে। এ মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে যে শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে, তাও দূর করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকেও এগিয়ে আসতে হবে।