:ডা. গোলাম রাব্বানী:
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস বিশ্বে মহামারি রূপে আর্বিভূত হয়েছে। এর ভয়াল ছোঁয়ায় বিপন্ন হচ্ছে মানব প্রাণ, রুদ্ধ হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন প্রবাহ। উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বরং ঘন বসতিপূর্ণ এ দেশে মাথাপিছু চিকিৎসকের হার, চিকিৎসা সরঞ্জামের সঙ্কট ও অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কারণে আমাদের দেশ অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ও হুমকির মুখে রয়েছে। করোনা মোকাবেলায় আমাদেরকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলছে। আল্লাহ না করুক চীন, ইতালি, আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো সংক্রমিত হলে আমাদের অবস্থা কি হবে তা একমাত্র উপর ওয়ালাই জানেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব নেত্রীবৃন্দসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের গলদ্ঘর্ম শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোন কুল-কিনারা পাওয়া যাচ্ছে না।
করোনা সংক্রমণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা তৃণমূল পর্যায়ে শতভাগ বাস্তবায়িত না হলেও তা যুগপযোগী ও প্রশংসনীয়। প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি, জীবন মানের উন্নতি, দারিদ্র বিমোচনে ইতিবাচক পরিবর্তন ও অগ্রসরমান উন্নয়নশীল দেশ হলেও এখনো দেশের ৮০ ভাগ মানুষ দিন উপার্জন করে দিন খায়। এসকল খেঁটে খাওয়া মানুষের অর্থাভাব, জনসংখ্যার আধিক্য (ঘনবসতি) ও সচেতনতার অভাব করোনা মোকাবেলায় একটা বিরাট অন্তরায়।
অপরদিকে এক জরিপে জানা গেছে, আক্রান্ত ৩০ শতাংশ মানুষের শরীরে কোন প্রকার করোনার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। এটা করোনা নিয়ন্ত্রণে আরেকটা বিপত্তি। কারণ এদের দ্বারা সহজেই করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সন্ধায় ৭১ টিভি পর্দায় তথ্যযোগে দেখতে পেলাম, বাংলদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন। এতে বলা হয়েছে, “করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় স্থাপিত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপালের বর্হিবিভাগ ও মেডিকেল সেন্টারগুলোতে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লক্ষণ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।” বিলম্বে হলেও
বাংলদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের এ সিদ্ধান্তটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক। কারণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধে করোনা নির্মূল হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জনক ডা, স্যামুয়েল ফেডারিক হ্যানিম্যান এমন একটা যুগান্তকারী মেটেরিয়া মেডিকা উপহার দিয়ে গেছেন, যা আমার মনে হয় কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত যত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটুক না কেন, ঐ সকল রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা উক্ত মেটেরিয়া মেডিকায় বিদ্ধমান রয়েছে। ভারতে যখন প্লেগ রোগের সংক্রমণ দেখা দিল, আমি কৌতুহলবশত ভাবলাম হোমিওপ্যাথিতে প্লেগ রোগের কোন চিকিৎসা আছে কিনা? তখন আমি শিক্ষানবিশ। হোমিওপ্যাথিক মেটেরিয়া মেডিকা ঘাটতেই অভিভূত হলাম। দেখলাম হ্যানিম্যান ২০০ বছর পূর্বেই প্লেগ রোগের বর্ণনা ও চিকিৎসা দিয়েছেন। বাংলাদেশে প্রথম যখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিল তখনো মেটেরিয়া মেডিকা ঘেটে দেখলাম ডেঙ্গু জ্বরের সহজ ও সফল চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে বিদ্যমান। বিগত কয়েক বছরে অসংখ্য ডেঙ্গু রোগীর সফল চিকিৎসা এবং বিনামূল্যে ডেঙ্গুর প্রতিষেধক ঔষধ দিয়েছি।
ডা. হ্যানিম্যান পৃথিবীতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা সংক্রমণজনিত রোগগুলোকে তিনি রোগ হিসাবেই গণ্য করেননি। কারণ এ সকল ভাইরাস বা সংক্রমণজনিত রোগ চিকিৎসা ছাড়াই ভাল হয়। এতে চিকিৎসকের কোন বিশেষত্ব নেই। এসকল রোগের বৈশিষ্ট্য হলো, হঠাৎ করে ব্যাপক হারে আক্রমণ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এর বিকাশ, পরিণতি, ফল-হয় রোগের মৃত্যু না হয় রোগীর মৃত্যু। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে- ইনফ্লুয়েঞ্জা: আক্রান্তের পর নির্ধারিত সময় পার হলে ঐ জীবাণু এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যায়। রোগী চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়। তবে উচ্চ তাপমাত্রায় রোগীর মৃত্যু হতে পারে, এজন্য তাপমাত্রা যেন না বাড়ে তার ব্যবস্থা করলেই চলে। ডায়রিয়া: নির্ধারিত সময় পার হলে কোন প্রকার চিকিৎসা ছাড়াই এ জীবাণু মানবদেহে ধ্বংস হয়ে যায়। আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ জীবাণু ধ্বংসের পূর্ব মূহুর্তে যদি পানি শূণ্যতা দেখা দেয় তবে রোগী মারা যায়। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে রোগীর দেহে যেন পানি শূণ্যতা না আসে। তদরূপ করোনার জীবাণুও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধ্বংস হয়ে রোগী সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তবে এ জীবাণুর কার্যক্ষমতা মানবদেহে দীর্ঘক্রিয়।
বর্তমানে করোনার চিকিৎসা মানে আনুসঙ্গিক ব্যবস্থা। যা বাড়িতে থেকেও সম্ভব। বিষয়টি হচ্ছে করোনা আক্রান্ত যে সকল ব্যক্তির জীবনীশক্তি সবল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাদের দেহে করোনা জীবাণুর নির্দিষ্ট মেয়াদকাল অতিক্রান্ত হওয়ায় জীবাণু নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। রোগীও সুস্থ হচ্ছে। আর আক্রান্ত যে সকল ব্যক্তির জীবনীশক্তি ক্ষীণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা করোনার (মানবদেহে) নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ঐ জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করে টিকতে পারছেনা। ফলে মারা যাচ্ছে। এটাই বাস্তবতা।
এখন প্রশ্ন হলো করোনা চিকিৎসায় কি হোমিওপ্যাথিক ব্যবস্থা আছে? আমি বলব হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। কেননা হোমিওপ্যাথিতে নির্দিষ্ট রোগের জন্য কোন নির্দিষ্ট ঔষধ নেই। এ ক্ষেত্রে করোনা বা অন্য যে কোন রোগ-ই হোক না কেন রোগীর লক্ষণের সাথে মিলিয়ে অর্থাৎ লক্ষণ সদৃশ ঔষধ প্রয়োগ করলে তা নিরাময় হতে বাধ্য। যদি নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র সঠিক হয়। উল্লেখ্য হোমিওপ্যাথি নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত। তবে চিকিৎসা শাস্ত্রের সংবিধান অনুযায়ী কোন রোগের ক্ষেত্রেই কোন চিকিৎসার গ্যারান্টি নেই। কারণ চিকিৎসক মাত্রই ঔষধ নির্বাচনে ভুল করতে পারেন।
বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর যে সকল লক্ষণ প্রকাশিত হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করে লক্ষণ সদৃশ সুনির্বাচিত ঔষধ প্রয়োগ করলে অতি দ্রুততম সময়ে আরোগ্য লাভ করবে বলে চিকিৎসা অভিজ্ঞতায় আমার বিশ্বাস। বিশ্বের এই সংকট মূহুর্তে করোনা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি বাংলাদেশের একটি রোল-মডেল হতে পারে। তাছাড়া প্রত্যেক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এন্টিবায়োটিক ও এন্টিডোট। রোগ আক্রমণ করলে এন্টিবায়োটিক হিসেবে ঔষধ ব্যবহৃত হয়, আর রোগ সংক্রমণের পূর্বে প্রয়োগ করলে তা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। আমার বিশ্বাস এসময় সুস্থবস্থায় Rhus Tox 1M এবং Arsenic Alb. 1M সকালে ও সন্ধ্যায় পর্যায়ক্রমে ৩/৪ দিন অন্তর সেবন করলে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকবেনা। এ বিষয়ে গত ২ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তার কার্যালয়ের ই-মেইলে এবং করোনা বিষয়ক জরুরী সেবার ওয়েব সাইটে একটি পত্র প্রেরণ করেছি।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড হলো ঢাল তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার। নিজস্ব দাপ্তরিক কর্মকান্ড ছাড়া তার অন্য কোন কাজ নেই। এ বোর্ডকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। বিপদ মূহুর্তে এ বোর্ডের এগিয়ে আসারও সামর্থ নেই। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করে মূলত এলোপ্যাথিরা। দ্বৈত শাসনে কর্মকর্তারা নিজেদের চাল-চুলো গুছাতেই ব্যস্ত।
অপর পক্ষে এক তরফা এলোপ্যাথিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেন আর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ই বলেন তারা হোমিওপ্যাথির নাম শুনলেই নাক ছিটকান। ওটাকে তারা কোন চিকিৎসা শাস্ত্রই মনে করেন না। কোন অবস্থাতেই বিকশিত হতে দেন না। কেবল ঠেলে ঠেসে কীভাবে নিচে নামানো যায়, শুধু এ প্রচেষ্টা। কারণ এটা বিকশিত হলে “কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ” এ শঙ্কা তাদের মধ্যে কাজ করে। অথচ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের অনেক চিকিৎসক আমার কাছে কিছু বিশেষ রোগের চিকিৎসা বিভিন্ন সময় নিয়েছেন। কথায় বলে “যার নাই কোন গতি সেই আসে হোমিওপ্যাথি”। এটা শুধু প্রবাদ-ই নয়, বাস্তবিক হোমিওপ্যাথি হচ্ছে চিকিৎসা জগতে Latest medical science বা আধুনিক সংস্করণ। হ্যানিম্যান সমস্ত প্যাথিকে রিসার্চ করে সর্বোচ্চ, সর্বোত্তম, সর্বাপেক্ষা মানব উপযোগী ও মানব বন্ধন বিশ্বজনীন চিকিৎসা প্রবর্তন করেছেন। যা সোয়া দুইশত বছরে কেউ তার ফর্মূলাকে ভুল প্রমাণিত করতে পারেনি বা তার চেয়ে আধুনিক প্যাথিও আবিষ্কার করতে পারেনি। যদিও ডা. সোসলার বায়োকেমিক পদ্ধতি প্রবর্তন করেছেন সেটাও হ্যানিম্যানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটনা, কিছু স্মৃতি, কিছু শিক্ষা রয়েছে যা কখনো ভুলবার মতো নয়। এ কলামটি লিখতে গিয়ে এমন একটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো। আমি তখন শেরপুর গোবিন্দ কুমার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। প্রধান শিক্ষক রোহিনী কান্ত হোড় খুব দক্ষ ও কড়া ব্যক্তিত্ব বলে শেরপুরে কিংবদন্তি রয়েছে। টিফিন পিরিয়ডের পর ধর্ম ক্লাস। কিন্তু মৌলভী স্যার না আসায় আমরা ক্লাসে গোলমাল করছিলাম। হঠাৎ হেড স্যার বারান্দা দিয়ে যাচ্ছিলেন। গোলমাল শোনে তিনি আমাদের ক্লাসে আসলেন এবং বললেন- গোলমাল করছো কেন? ক্লাসে শিক্ষক আসেননি? আমরা উত্তর দিলাম-না, তিনি বিলম্ব না করে ক্লাস থেকে বের হয়ে অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন মৌলভী স্যার আসেননি। আমাদের একজন বিজ্ঞ বিএসসি শিক্ষক ছিলেন, তিনি গণিত পড়াতেন। গণিতের শিক্ষক হিসেবে তারও কিংবদন্তী রয়েছে। হেড স্যার সেই শিক্ষক ডিজেন্দ্র কুমার পাল (ডিসি পাল) কে ইসলাম শিক্ষা (ধর্ম) ক্লাস নেয়ার জন্য পাঠালেন। তিনি ক্লাসে আসলেন আমরা ভাবলাম হয়তো অন্য বিষয়ে ক্লাস নিবেন। তিনি আমাদের জিজ্ঞেস করলেন-এখন তোমাদের কি ক্লাস? আমরা জবাব দিলাম-ধর্ম। তিনি প্রশ্ন করলেন- বলোতো- ধর্ম কি বা ধর্ম কাকে বলে? আমরা কেউ উত্তর
দিতে পারলামনা। তিনি বললেন-“যাহা ধারণ করলে বা যাকে ধারণ করলে মানুষের ইহ ও পরলৌকিক কল্যাণ সাধিত হয় তাহাই ধর্ম।” কথাটি আমার আজীবন মনে থাকবে।
চিকিৎসা কোন ছেলেখেলা বা খামখেয়ালী বিষয় নয়। এটার উপর মানুষের জীবন মরণ নির্ভর করে। পৃথিবীতে যত প্যাথিই আবিষ্কার হয়েছে তা সবই যুগে যুগে মানব কল্যাণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই কোন প্যাথিকেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শত নিপীড়ণের মধ্যেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই হোমিওপ্যাথি স্বগৌরভে এগিয়ে চলছে।
অগ্রসরমান উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দ্রুততম সময়ে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হোমিওপ্যাথির বিকল্প নেই। অথচ আমরা হোমিওপ্যাথিকে ধারণ করতে পারছিনা। এ চরম সংকট মূহুর্তে পরীক্ষামূলক হলেও করোনা রোগীদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দেয়া জরুরী বলে আমি মনে করছি। গত ২ এপ্রিল আমার প্রেরিত পত্রের প্রেক্ষিতে বা অন্য কারণেই হোক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে আমি আশান্বিত হয়েছি। কিন্তু এটাই যথেষ্ঠ নয়। এ চরম সংকট মূহুর্তে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হোমিওপ্যাথিক বিভাগ ও দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরকে নিয়ে কয়েকটি প্রতিনিধি দল তৈরি করে, এদেরকে সরকার কর্তৃক প্রণোদনার আওতায় এনে এলোপ্যোথিক চিকিৎসকদের সমান্তরাল কাতারে নিয়ে আসা হোক, যথাযথ মূল্যায়ন করা হোক। সকলের প্রচেষ্টায় সবার জন্য নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবীই হোক আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা।
লেখক- ডা. গোলাম রাব্বানী: কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
মোবাইলনং -০১৯১২২৭৫৫৬২.