শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় তারাগঞ্জ দক্ষিণ বাজার গোপাল মন্দির বর্হিপ্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুঠোফোনে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষনা করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত।
নালিতাবাড়ী উপজেলা ঐক্য পরিষদের আহবায়ক গোপাল সরকারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বারোমারী ধর্মপল্লীর রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র চিরান। মুঠোফোনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপঙ্কর ঘোষ, সহ-সম্পাদক অধ্যাপক সুব্রত রায় মানিক। বিধান সরকার শিবুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা ঐক্য পরিষদের জেলা আহবায়ক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, সদস্য সচিব কানু চন্দ্র চন্দ, পরিষদ নেতা কমল চক্রবর্তী, প্রিয়তোষ সরকার, নালিতাবাড়ী পূজা পরিষদের সভাপতি অরুন সরকার, সাধারন সম্পাদক যোগেন রায়, প্রবীন আদিবাসী নেতা মলয় রেমা, জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য নেহালিকা দিব্রা, প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রানা দাশ গুপ্ত বলেন, জনসংখ্যার আনুপাতিকহারে সংসদে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করণে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহকে দায়িত্ব নিতে হবে। এছাড়া যেসব নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক নেতৃত্বে থেকে যারা সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, স্বার্থবিরোধী কোনপ্রকার কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জড়িত ছিলেন বা আছেন এমন কাউকে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হলে সেসব এলাকায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ভোটদানে বিরত থাকবে বা ভোট বর্জন করবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে গোপাল সরকারকে সভাপতি ও লুইস নেং মিনজানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নালিতাবাড়ী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নয়া কমিটি গঠন করা হয়। পরে উপজেলার প্রায় ২ সহশ্রাধিক হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে।