শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের হালগড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুস সাত্তার (৩০) নামে এক যুবক খুন এবং এক পুলিশ কনস্টেবল সহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ খুনের ঘটনার জেরে অগ্নিকান্ডে ২৫ ঘর ভস্মীভুত হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার হালগড়া গ্রামের মজু মিয়া ও তার ভাই কাদেরের সাথে একই এলাকার রফিক মিয়ার একখন্ড জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। স্থানীয় রহিজ উদ্দিন মেলেটারি নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাসদস্য রফিকের পক্ষ নিলে এনিয়ে বিরোধ চরমে ওঠে। বৃহস্পতিবার বিরোধপূর্ণ ওই জমি নিয়ে রফিক ও রহিজউদ্দিন মিলিটারী এবং প্রতিপক্ষ মজু-কাদেরের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষে ১০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহত কাদেরের ভাই আব্দুস সাত্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে সে মারা যায়। তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শেরপুর থেকে পুলিশ হালগড়া গ্রামে অবস্থান নেয়। সেসময় রহিজ মেলেটারি ও রফিকের ঘরবাড়ীতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এতে ২০/২৫টি বাড়ী-ঘর ভস্মিভুত হয়। এ ঘটনায় পুরো হালগড়া গ্রাম জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং উভয় পক্ষ দেশীয় ধারাল অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে গ্রামের দু’দিকে অবস্থান নেয়।
অগ্নিকান্ডে ভস্মীভুত পরিবারগুলোর দাবী, পুলিশের উপস্থিতিতে মজু-কাদেরের লোকজন ঘরবাড়ীতে আগুন দিয়ে সবকিছু ভস্মীভুত করেছে।
শেরপুর সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিজউদ্দিনের লোকজন নিজেদের বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করলে সেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ২০/২৫টি বাড়ী-ঘর ভস্মীভুত হয়। আগুন দেওয়ার সময় এক মহিলাকে পুলিশ ধরে ফেললে পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছাড়িয়ে নেয় রহিজউদ্দিনের লোকজন। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়।
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় কাজ করছি। লোকজন এখনো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল কাদের বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।