শেরপুরে জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে বিতর্কিতদের স্থান দেওয়ার প্রতিবাদে ও ত্যাগী, পরিক্ষিতদের নেতৃত্বে আনার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শেরপুরের আওয়ামীলীগ পরিবার।
আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় শহরের খরমপুর খাদ্য গোদাম এলাকায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সদর আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু।
লিখিত বক্তবে তিনি বলেন, ২৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটি অনুমোদন দেয়। ওই কমিটিতে রাজীবসহ কয়েকজন ছাত্রদল কর্মীকে স্থান দেয়া হয়েছে। আর মতিউর রহমান মতিন নামে যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে কুৎসা রটনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
দলের কর্ণধাররা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে ওই কমিটির অনুমোদন নিয়েছিল। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাদের ওইরূপ আচরণের কারণেই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে কেউ ক্ষোভে-দুঃখে দল না করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন ত্যাগী নেতা কমিটিতে স্থান পাননি।
অন্যদিকে এই অবস্থায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি নবগঠিত জেলা কমিটি স্থগিত করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেওয়ায় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে এসে বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জেনেছে। অথচ ওই কমিটিকে বহাল রাখতে দলের একটি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে। এজন্য তিনি নবগঠিত কমিটি বাতিল করে প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবারের ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি স্বচ্ছ-ক্লিন ইমেজের কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান। তা না হলে শেরপুরে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে ।
সংবাদ সম্মেলনে শেরপুরের আওয়ামীলীগ পরিবারের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ অদু, এডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল খালেক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাছান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফী জুবেরী, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফারহানা পারভীন মুন্নী,
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক ও রৌহা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মিজু, আওয়ামীলীগ নেতা ও লছমনপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ,আব্দুল মতিন, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইয়াকুব আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।