শেরপুরে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও শিশু তাহমিদ হত্যা ও মাদকের ভয়াবহতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। তিনি ১৪ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে শেরপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ওই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষক দম্পতির সন্তান শিশু তাহমিদ হাসানের হত্যার ঘটনা সকলের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
যেভাবে ও যে কারণেই ওই হত্যার ঘটনা ঘটুক না কেন, দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর বিবেচনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা যেতে পারে মন্তব্য করে তিনি ওই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সর্বোচ্চ তৎপরতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
একইসাথে তিনি জেলায় মাদকের ভয়াবহতা না কমায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎপরতা বাড়ানোসহ ওই বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং সীমান্তের গজনী ও মধুটিলা ইকোপার্কের প্রতি বিরূপ প্রভাব যেন না পড়ে সেজন্য সেখানকার ভ্রমণ নির্বিঘœ করতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নানা কৌশল নিতেও পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের নজরদারি-টহল বাড়াতেও গুরুত্বারোপ করেন।
জেলা প্রশাসক ড, মল্লিক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) খন্দকার খালিদ বিন নূর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম রিয়াজুল হাসান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, নকলা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব সরকার, কাস্টমস’র সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান, অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম মুকুল, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, শহর কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান মতি প্রমুখ। সভায় পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।