জামালপুর পৌর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল করিম খান তন্ময়ের ওপর হামলা হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর কবরস্থান এলাকায়ই তাঁর ওপর এ হামলা হয়।
আহত তন্ময় জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তন্ময় বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে জামালপুর পৌর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম। জিয়ারত শেষে ফেরার সময় পৌর কবরস্থানের গেইটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর ঘনিষ্ঠ সহকারী আল আমিন, জনি ও রুবেলসহ ১০ থেকে ১৫জন আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে।’
‘হামলার এক পর্যায়ে আমি কবরস্থানের ভেতরে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাঈম রহমান আমাকে উদ্ধার করে। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিই।’ যোগ করেন তন্ময়।
সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মার্কেট এরিয়ায় মেয়র ছানুর বড় ভাই আনোয়ারের গাড়ির সঙ্গে আমার গাড়ির ধাক্কা লাগে। এরপর গাড়ির চালকের সঙ্গে আমার বাকবিতণ্ডা হয়। সেই ঘটনার জের ধরে মেয়র ছানুর নির্দেশে ও আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে আমার ওপর হামলা হয়। হামলায় আমি মাথায় আঘাত পাই। এছাড়াও শরীরের নানা জায়গায় আঘাত পেয়েছি।’
আহত তন্ময়ের বড় ভাই রানা বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা ইফতারের পরে মামলা করব। আমি এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।’
এদিকে ঘটনার পরপরই জামালপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়ের সমর্থক ও স্বজনেরা। এসময় তাঁরা মেয়র ছানুর বিপক্ষে স্লোগান দেয় এবং দোষীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।
মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানুর বড় ভাই আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘শুক্রবার আমি বাড়ি থেকেই বের হয়নি। তন্ময়কে কে বা কারা মেরেছে আমি জানি না। আমার গাড়ির সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি ওই দিন রাতেই আমি তন্ময়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে শেষ করেছি। তন্ময়কে যদি মারতেই হয় তাহলে আমি অন্য লোকজনকে দিয়ে কেন মারাবো। আমি নিজেই তন্ময়কে শাসন করতে পারি।’
এসব বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, ‘আমি ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’