শেষ ওভারের ৫ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিল তাওহীদ হৃদয়। ৯৮ বলে ৮৩ রান নিয়ে তখন ব্যাটিংয়ে তিনি। লাহিরু কুমারার করা দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। পরের বলে আবারও তাসকিন আহমেদ সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক পেয়ে যান হৃদয়। পরের বলটি স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন। শেষ দুই বলে দুই ছক্কায় ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
স্কুপটা ঠিকঠাক হলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও পেয়ে যেতে পারতেন তিনি। এমন কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি না পাওয়ার কোনো আক্ষেপ আছে কী! এমন প্রশ্নে হৃদয়ের উত্তর, আমার কোনো আক্ষেপ নেই।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা তরুণ এই ব্যাটার সেঞ্চুরি না পাওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেখেন, আমার কোনো আক্ষেপ নেই। যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন বলতে পারেন যে, ৯৬ আর একটা বল থাকলে হয়তোবা অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে। কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়, সব থেকে যেটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমি তো প্রথম বলে আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি, টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছি। আমার সব সময় পরিকল্পনা থাকে একটা শুরু যখন পেয়েছি, যতটুকু পারব দিনটাতে যেন ক্যারি করতে পারি।’
৭৪ বলে প্রথম ফিফটির দেখা পান হৃদয়। পরের ৩২ বলে করেন ৪৬ রান। ব্যাটিংয়ে পরিকল্পনা কি ছিল, সেটা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, যেটা বললেন যে স্লো ছিল! আপনার এটাও বুঝতে হবে যে, পরিস্থিতিটা কি ছিল আজকে। আমার ব্যাক টু ব্যাক একটু পর পর উইকেট পড়তেছিল। ওই সময় আমার মাথায় যতটুকু কাজ করেছিল, আমি চেষ্টা করেছিলাম শেষ করব ওই জায়গা থেকে।
আরও ব্যাটসম্যান যদি থাকত, তাহলে হয়তোবা খেলার দৃশ্যটা ভিন্ন হতো। আমি প্রথম থেকে যখন দেখতেছিলাম আমাদের একটু পর পর উইকেট হারাচ্ছি, তখন আমার লক্ষ্য ছিল আমি খেলাটুকু শেষ করব। যেহেতু আমি সেট ব্যাটসম্যান, আমি যদি খেলাটুকু শেষ করি তাহলে হয়তোবা আরও ভালো কিছু হবে।’ নিজে শেষ করতে পারলেও দলের জয় দেখা হয়নি হৃদয়ের।