সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিল জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ভালো না গেলেও দারুণ সাফল্য পাচ্ছে ব্রাজিল বীচ সকার দল, নারী দলসহ যুব দলও। এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলছে কনকাকাফ ডব্লিউ গোল্ড কাপ। যেখানে আগের ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ব্রাজিলের মেয়েরা। আজ সেমিফাইনালে মেক্সিকোকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ন্যাপড্রাগন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে ব্রাজিলের মেয়েরা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই মেক্সিকোর একজন লাল কার্ড দেখলে বাকিটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় মেক্সিকোকে। ব্রাজিলের হয়ে আদ্রিয়ানা, অ্যান্তোনিয়া ও ইয়াসমিম একটি করে গোল করেন।
ম্যাচে পুরো আধিপত্য বিস্তার করে ব্রাজিলের মেয়েরা। তারা ৬৮ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখে প্রতিপক্ষে গোলপোস্টে ২৩টি শট করে। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৬টি। সেখান থেকেই তিনটি গোল আদায় করে নেয়। অন্যদিকে ৩২ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখে মেক্সিকো ৮টি শটের মধ্যে মাত্র ২টিই লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল।
ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে এদিন ম্যাচের ২১ মিনিটেই আদ্রিয়ানার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গোল পোস্টের খুব কাছ থেকে গোল করেন তিনি। প্রথম গোল খাওয়ার ৮ম মিনিটের মাথায় বড় ধাক্কা খায় মেক্সিকো। ২৯তম মিনিটে মেক্সিকোর নিকি হার্নান্দেজ সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় তারা।
এরপরই ম্যাচের ৩২তম মিনিটে আদ্রিয়ানার অ্যাসিস্ট থেকে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন অ্যান্তোনিয়া। বক্সের বাইরে থেকে তার বাম পায়ের নেয়া দ্রুতগতির শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে অবস্থান নেয়।
বিরতির পর ৪৮তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন ব্রাজিলের ইয়াসমিম। গাবি পোর্টিলহোর ক্রসে গোলপোস্টের সামনে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি। বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল না পেলেও ৩-০ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ব্রাজিলের মেয়েরা।
আগামী সোমবার (১১ মার্চ) ফাইনালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। যারা কানডাকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ১২টি দল নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়ায় কনকাকাফ ডব্লিউ গোল্ড কাপ-২০২৪। ১২টি দলকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে প্রথমে গ্রুপপর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে আটটি দল (তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ ৬ দল এবং তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা আরও দুটি দল) জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে।
সেখান থেকে ব্রাজিল-মেক্সিকো ও কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সেমিফাইনালে আসে। আর ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র উঠলো ফাইনালে। যারাই শিরোপা জিতবে তারাই প্রথম আসরে প্রথম শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়বে।