অদম্য মেধাবী ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের রাজু মিয়া। দরিদ্রতার চাপেও দমে থাকেনি তার লেখাপড়ার স্বপ্ন। ২০১৫ সালে স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শেরপুর সরকারী কলেজে এইচএসসি সম্পন্ন করে সে। অদম্য ইচ্ছা থাকায় পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে।
এরপর ভর্তি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাতালিকায় ৯ম স্থান অধিকার করে রাজু। কিন্তু মাত্র ১৬ হাজার টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে যায় তার। তার এই অবস্থার কথা সে জানায় ঝিনাইগাতী উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের।
পরে গতকাল সোমবার শেরপুর জেলার প্রথম অনলাইন সংবাদ মাধ্যম “শেরপুর টাইমস ডট কম” সহ দেশের বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে “১৬ হাজার টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত রাজুর” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর শেরপুর শহরের মানবাধিকার কর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি শেরপুর টাইমসের ঝিনাইগাতী প্রতিবেদক জাহিদুল হক মনিরের সাথে যোগাযোগ করে রাজুর খোঁজখবর নিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানান।
এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে ৫ হাজার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু ১ হাজার ও সমাজসেবী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া ১০ হাজার টাকা মোট ১৬ হাজার টাকা রাজুকে প্রদান করা হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক (উপসচিব) এটিএম জিয়াউল উসলাম, সমাজসেবী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, মানবাধিকার কর্মী শামীম হোসেন, ডিবিসি নিউজের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ইমরান হাসান রাব্বী, সাংবাদিক জাহিদুল হক মনির ও মানবাধিকারকর্মী নাইম ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।