৭ জানুয়ারি নির্বাচনে এক কোম্পানির চার প্রোডাক্ট (নৌকা-লাঙ্গল-ঈগল-ট্রাক) অংশ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনি তামাশা ইতোমধ্যেই গণপ্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা আবোল-তাবোল বকতে শুরু করেছে। তাদের উচ্ছিষ্টভোগী-কুঁড়ো পার্টির প্রার্থীরা দলে দলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, দেশজুড়ে নির্বাচনে কে ‘আসল’ আর কে ‘ডামি’ এ নিয়ে প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে সারা দেশে কামড়াকামড়ি, সন্ত্রাস-সংঘর্ষ-হানাহানি-খুনোখুনি সমানে চলছে। আওয়ামী অপশক্তি এখন নিজেরাই নিজেদের পাতা ফাঁদে আটকে পড়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার হুঙ্কার দিচ্ছে। আওয়ামী মাফিয়া চক্র বিএনপিকে তাদের মিথ্যাচার-অপপ্রচার আর প্রতিহিংসার টার্গেটে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের আগাম কথায় শঙ্কা আরও বেড়েছে। আওয়ামী লীগের গুপ্ত বাহিনী নিজেরাই নিজেদের ‘নৌকা-লাঙ্গল-ট্রাক-ঈগল’ প্রার্থীদের হত্যা বা গুপ্তহত্যার পথও বেছে নিতে পারে। তাই দেশপ্রেমিক জনগণকে সতর্ক ও সজাগ থাকার আহ্বান জানাই। সম্ভব হলে আওয়ামী অপকর্মের সাক্ষ্য-প্রমাণ রেকর্ড করে রাখুন।
রিজভী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবস। ৭ জানুয়ারির ঐতিহাসিক রক্তাক্ত শোক দিবসে কোনো দেশপ্রেমিক জনগণ নির্বাচন হতে দেবে না। ফেলানী হত্যা দিবসে তাকে স্মরণ করে স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকারে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রত্যয়ে নির্বাচন বর্জন করতে গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।