নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বদলি প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। বিভিন্ন উপজেলায় কোন ইউএনও কতদিন ধরে আছেন, সেই তথ্য বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে রবিবারের (৩ ডিসেম্বর) মধ্যে ইউএনওদের বদলি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপরই বদলি শুরু করবে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ইউএনও বদলির প্রক্রিয়া গতকাল (রবিবার) থেকেই শুরু করেছি। আশা করছি আজকের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনাররা প্রস্তাবগুলো পাঠিয়ে দেবেন। এরপর নির্বাচন কমিশনের কাছে সেগুলো উপস্থাপনের মাধ্যমে বদলি শুরু হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যায়ক্রমে বদলি করতে বলেছে। ওনারা যেভাবে বলেছেন আমরা সেভাবেই করবো। প্রথম পর্যায়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকা ইউএনওদের বদলি করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।
এমন কতজন ইউএনও রয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিসাবটা এখনো হচ্ছে। মূলত কাজটা বিভাগীয় কমিশনাররা করছেন। ওখান থেকে আসবে। আমরা আশা করছি, আজ রাতের মধ্যে পেয়ে যাবো।
এর আগে ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমানের সাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বর্তমান কর্মস্থলে এক বছরের বেশি চাকরির সময় হয়েছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।
সারাদেশে এখন ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। ইউএনওদের বদলি ও পদায়নের দায়িত্ব বিভাগীয় কমিশনারের। এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলির নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
দেশের সব ইউএনও ও ওসিকে বদলির সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত শনিবার ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বদলির কারণে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে না।