নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘যারা আসেননি তাদের আহ্বান করেছি এবং আহ্বান অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনে আসেন। যদি এমনও হয় যে সংবিধান অনুযায়ী যে সময়সীমা রয়েছে সেটাকে রিঅ্যাডজাস্ট করে নির্বাচন পেছানো সম্ভব। সেটাতেও আমরা রাজি আছি।’
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে সম্ভবত সেনাবাহিনী থাকবে। আমরা এজন্যই সম্ভবত বলছি যে এখনও এই বিষয়ে ফাইনাল ডিসিশন হয়নি। তবে অন্যান্য জাতীয় নির্বাচনে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি এজন্য বলছি সম্ভবত সেনাবাহিনী থাকবে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বহির্বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না, এটা তো কখনও বলেনি। আমরা তো তাদের কাছ থেকে অনেক তালিকা পেয়েছি।’
বহির্বিশ্বের কোনও চাপ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত আরেকজন চাপিয়ে দিতে পারে না। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, একটি নির্বাচনে সব ধরনের রাজনৈতিক দল অংশ নেয় না। নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে আহ্বান করা হচ্ছে। এখনও বলা হচ্ছে। শুধু বিএনপিকে একাই নয়, ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান করেছে কমিশন। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন রাজি আছে।’
এ সময় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বিজিবি’র মেজর আবরার, র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহতাসিম রসুলসহ ৫টি উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#বাংলা ট্রিবিউনে