শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে খ্রিষ্টীয় ভাবধারায় নাচ গানের মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টভক্তদের ওয়ানগালা রাজ্য উৎসব পালিত হয়েছে। রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীর আয়োজনে এই উৎসব পালিত হয়।
খ্রিষ্টধর্ম মতে, ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আদি পিতা মাতার ইষ্ট দেবতার কর্তৃত্ব ও আনুগত্য স্বীকার করে তার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে নতুন বছরে নিজেদের উৎপাদিত নতুন ফসল এবং ফলমূল উৎসর্গ করেন খ্রিষ্টভক্তরা। তারা বিশ্বাস করেন প্রাচীনকালে সাংসারেক গারো মান্দিরা তাদের ইষ্ট দেবতা মিসিসালজং এর সম্মানার্থে এই উৎসবটি পালন করা হতো। তাদের মতে মিসিসালজং দেবতাই ভুমির উর্বরতা, সমস্ত শস্য, বৃষ্টি ও জলের দেবতা ও নিয়ন্তা। তাই নতুন বছরের নতুন ফসল সৃষ্টিকর্তাকে উৎসর্গ করার মধ্যে দিয়ে ওয়ানগালা উৎসবের মাধ্যমে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার সীমান্তবর্তী বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ওয়ানগালা উৎসব তথা নতুন ফসল ঘরে তোলার উৎসব পালিত হয়।
এই উৎসবে পুরোহিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লীর পালপুরোহিত রেভারেন্ড ফাদার তরুণ বনোয়ারী। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী পালপুরোহিত রেভারেন্ড ফাদার প্রদীপ ম্রং।
এ সময় প্রিয় অতিথি উপস্থিত ছিলেন, নালিতাবাড়ী ট্রাইবাল ওয়োল ফেয়ার এসোসিয়েশনের (টিডব্লিউএ) চেয়ারম্যান মি. কোপেন্দ্র নকরেক, কোষাদক্ষ লিটন ডেভিড হাজং, বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীর ভাইস চেয়ারম্যান সুচিত্রা চিছাম, সাধারণ সম্পাদক ফ্রান্সিস চাম্বুগং, সিষ্টার বাপ্তিস্তা রেমা, সিষ্টার মমতা রেমা, শেফালী মাংসাং ও মিতালী চিরান প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে উপজেলার গারো অধ্যুষিত এলাকার ১৭ টি গ্রামের গ্রাম প্রধান মাতব্বরগণ ও প্রায় তিন শতাধিক নর-নারী খ্রিষ্টভক্তগন অংশ গ্রহন করেন।