আগে ও পরে বোর্ড কর্তা ও টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর যতই দোষ চাপানো হোকনা কেন, দিন শেষে জাতীয় দলের ব্যর্থতার দায় ক্রিকেটারদেরও কম না। আজকাল কোনো না কোন ছুঁতোয় অনেকেই বিভিন্ন সিরিজ বা ফরম্যাটে খেলা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেন। একটুতেই ছুটির আবেদন করে বসেন।
ইনজুরি, ফিটনেস সমস্যা হলেতো কথাই নেই। পারিবারিক কারণেই আজকে অমুক, কালকে তমুকে কোনো সিরিজ বা ফরম্যাটে অংশ না নিয়ে ছুটিতে চলে যাচ্ছেন। যেমন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে হঠাৎ ১ মাসের ছুটির দরখাস্ত দিয়েছেন লিটন দাস।
কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছেন। এ সময় স্ত্রীর পাশে থাকতেই লিটন দাসের এ ছুটির আবেদন। তার মানে তার পক্ষে নিউজিল্যান্ডের সাথে ঘরের মাঠে ২ টেস্টের সিরিজে অংশ নেয়া সম্ভব হবে না।
ওপেনার তামিম ইকবাল পুরোপুরি সুস্থ নন, তাই ধরেই নেয়া হচ্ছে তিনি খেলবেন না কিউইদের সাথে টেস্ট সিরিজ। ওদিকে আঙ্গুলের ফ্র্যাকচারের কারণে খেলা সম্ভব হবে না অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তার সাথে যদি লিটন দাসও পুরো ২ টেস্ট মিস করেন, তাহলে দলের শক্তি যে প্রায় অর্ধেক যাবে কমে।
তাই বিসিবি লিটন দাসের ছুটির আবেদন গ্রহণ নাও করতে পারে।
বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের এক নির্ভরশীল সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ছুটি চেয়ে লিটন দাস বুঝিয়ে দিয়েছেন ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের সাথে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ (প্রথম টেস্ট সিলেটে শুরু ২৮ নভেম্বর আর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু শেরে বাংলায় ৬ ডিসেম্বর) তিনি খেলতে চান না। কিন্তু বিসিবির ভাবনা ভিন্ন।
বিসিবি চায় লিটন অন্তত এক টেস্ট খেলুন। জানা গেছে, বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের কর্তারা আগামীকাল শনিবারই এ বিষয়ে নির্বাচকদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন। তবে এটা নিশ্চিত যে, লিটনকে একমাসের পুরো ছুটি দেয়া হবে না।