শেরপুরের শ্রীবরদীতে নাশকতার অভিযোগে পৃথক পৃথকভাবে বিএনপি’র ২৭ জন নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে শ্রীবরদী চৌরাস্তা মোড়ে মাইক্রোবাস থেকে অবিস্ফোরিত ৫টি ককটেল ও ৩ ফুট সাইজের ১০টি লাঠিসোঠাসহ তাদের আটক করা হয়েছে। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে রোববার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে রববিার (২৯ অক্টোবর) হরতাল কর্মসুচিতে নাশকতা করার জন্য মাইক্রোবাসযোগে তারা ঢাকায় যাচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পুলিশ উপ-পরিদর্শক সাইফুল মালেক সংগীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। এসময় মাইক্রোবাস তল্লাসী করে ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ১০টি লাঠি উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলো আনোয়ার হোসেন (৫৫), রহুল আমীন (৪০), আজিজুর রহমান (৫২), ফরিদুল(৪৫), ফারুকুল ইসলাম (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৪৭), সোহেল (২৭), শফিকুল ইসলাম (৪৫), হারুন অর রশিদ (২২), মোক্তার হোসেন (৫০), আবু তালেব (৪০), সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এছাড়া, শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিএনপি’র ১৬ জন নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো-গোপালখিলা গ্রামের আব্দুর রউফ (৬২), একই গ্রামের আমজাদ (৫৫), দহেরপাড় গ্রামের কফিল উদ্দিন (৫০), ভারেরা গ্রামের রুবেল মিয়া (২৫), পোড়াগড় গ্রামের সেলিম (৪৫), বিলভরট গ্রামের খোরশেদ আলম (২৮),একই গ্রামের হারুন অর রশিদ (৫৮), শংকরঘোষ গ্রামের আল আমীন (২৭), সিংগাবরুনার মোস্তাইন বিল্লাহ (২৮), কাউনেরচর গ্রামের সুজন মিয়া ( ৪০), গড়জরিপার তোফাজ্জল হোসেন (৪০), পুর্ব ছনকান্দার মোর্শেদ আলম মন্ডল (৪০), কুরুয়াকাজিপাড়া গ্রামের মোস্তফা (৬০), শিমুলচুড়া গ্রামের সওদাগর (৭৩), তিনানী ভেলুয়ার রহিম বাদশা (৫৩), সাতানীপাড়া কাকিলাকুড়ার আবু রায়হান(৪৫)।
শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।