জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামী ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর উভয় মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এরপর বলে, কেন, আপনাদের প্রটেকশন দিয়ে আনা হয় না? উত্তরে মাসুদ তালুকদার বলেন, না। এরপর আইনজীবী জয়নাল আবেদীন ও এজে মোহাম্মাদ আলী হাজিরা দাখিলের বিষয়ে বলেন, এটা আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এরপর বিচারক বেলা পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২ পর্যন্ত এজলাসে খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করার পর জামিন বাতিল করে গ্রপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৫,৬ ও ৭ ডিসেম্বর যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৯ ও ২৬ অক্টোবর এবং ২, ৯, ১৬ ও ২২ নভেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থণে আদালতে আংশিক বক্তব্য প্রদান করেন। এতিমদের জন্য বিদেশী থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।