নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে সেন্টুকে আর রিকশা চালাতে হবে না। তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টুর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ডিসি। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘সেন্টুর চিকিৎসার ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। চিকিৎসক বলেছেন, অক্সিজেন কনসালট্যান্ট মেশিনটা এখন সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। তাই এ মেশিনটা তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেন্টুকে আর রিকশা চালাতে হবে না, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। তাই রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’
নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে রিকশা চালানো সেন্টুর পাশে দাঁড়ালেন ডিসি
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
সেন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। গত দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার প্রতিদিন তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে। এ অবস্থায় রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর খরচ উপার্জন করছিলেন সেন্টু।