শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনি বীট এলাকার ‘ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের’ ভূমিহীনদের রোপিত প্রায় ২৫ একর জমিতে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ফলদ, বনজ বৃক্ষ কর্তন এবং মৎস ও গবাদি পশু লুট করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় গুচ্ছ গ্রামের ভূমিহীনরা।
আজ ১৯ নভেম্বর রোববার সকালে শহরের নিউমার্কেটস্থ হোটেল স¤্রাটের পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুল হাই এর পক্ষে তার ভাতিজা মো. নজরুল ইসলাম।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ভূমিহীনদের পক্ষে অর্থলগ্নীকারী শামীমূর হোসেন ও ফিরোজ ভূইয়া। সংবাদ সম্মেলনে ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের অন্যান্য উপকারভোগীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯০ সালে সরকার ঝিনাইগাতি উপজেলার পাহাড়ি গজনি মৌজায় স্থানীয় ভূমিহীনদের সমন্বয়ে ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের নামে ২৫.৯২ একর খাস জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়। পরবর্তিতে ১৯৯৮ সাল থেকে সেখানে তাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসকের লিখিত অনুমতিক্রমে অংশীদার ভিত্তিতে প্রায় ১৬ হাজার বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ এবং বিভিন্ন সাক-সবজি ও পশু-পালনের জন্য প্রকল্প গড়ে তোলেন এবং গত চার বছর যাবৎ যা উৎপাদন করে আসছে।
কিন্তু গত ১৫ অক্টোবর স্থানীয় বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোন রকম নোটিশ জারি ছাড়াই রাতের আধাঁরে আমাদের সেসব বৃক্ষ কর্তন করে এবং পশু-পালন খামারের হাঁস-মুরগি ,গরু-ছাগল এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত বিষয়টি ঝিনাইগাতি থানায় তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও প্রশাসন এ বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন।
এদিকে বন বিভাগের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করেন রাংটিয়া রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, বন বিভাগের জমি তৎকালীন জেলা প্রশাসক ভূলক্রমে বন্দোবস্ত দিলেও পরবর্তিতে তা বাতিল করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশের ওই জমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদ করা হয়। এসময় বেশ কয়েটি টিন সেড স্থাপনা ও সামান্য কিছু গাছ কাটা পড়ে।