অটোচালক কাজব আলী (কাজু)। বয়স ৬২। বাত ও শ্বাসকষ্টে ভারী কাজ করতে পারেন না তিনি। অটোরিকশা চালিয়ে যা উপার্জন হতো তা দিয়ে কোনোরকম পরিবারের খরচ জোগাতেন তিনি। রোববার দুপুরে মসজিদের পাশে অটোরিকশাটি তালা দিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করতে যান তিনি। নামাজ শেষে এসে দেখেন নির্ধারিত স্থানে অটোরিকশাটি নেই। চারদিকে খোঁজাখুঁজির পরও অটোরিকশাটি না পেয়ে নির্বাক হয়ে পড়েন তিনি। উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটোরিকশাটি হারিয়ে কাঁদছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর শহরের ভিক্টোরিয়া স্কুলের সামনে পৌর মসজিদের পাশে। কাজব আলী শেরপুর পৌর শহরের মোবারকপুর মহল্লার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
কাজব আলী বলেন, রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ভিক্টোরিয়া স্কুলের সামনে পৌর মসজিদের পাশে অটোরিকশাটি রেখে জোহরের নামাজ আদায় করতে যাই। নামাজ শেষে করে এসে দেখি গাড়িটি নেই। পরে আমি ও অন্য মুসল্লিরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। তারপরও গাড়িটি পাইনি।
তিনি আরো বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ, নিয়মিত নামাজ পড়ি। বাত ও শ্বাসকষ্টে ভারী কাজ করতে পারি না। চেয়ে খাওয়ার চাইতে অটোরিকশা চালিয়ে দিন কাটত। সেটিও আজ চুরি হয়ে গেছে, খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন সংসার চালাব কীভাবে, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না।
আখের মামুদ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজু মিয়া খুব নিরীহ মানুষ। অটো চালিয়েই সংসার চালাতেন। এখন সেই অটোটি চুরি হয়ে গেছে শুনে খুব কষ্ট হচ্ছে। সবার সহযোগিতা পেলে হয়তো কাজু মিয়ার কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করেন তিনি।