কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি বা শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না মর্মে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া যাবে না। সংবর্ধনা-পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত বা পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।
পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, এসব সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে একদিকে যেমন বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ শারীরিক ও মানসিক চাপ পড়ছে। বিষয়টি সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শিক্ষার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীকে এভাবে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পরিপত্রে জানানো হয়।
এছাড়াও ২০২৩ সালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৭১ দিন ছুটি নির্ধারণ করে একটি শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানেই এই নতুন নির্দেশনা এসেছে।
ছুটির দিনপঞ্জিতে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস (২৬ মার্চ), ইস্টার সানডে, বাংলা নববর্ষ, শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশের জন্য মোট ২৬ দিন, দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা এবং প্রবারণা পূর্ণিমায় ৫ দিন, বিজয় দিবস, বড়দিন এবং শীতকালীন অবকাশের জন্য ১৩ দিন ছুটিসহ মোট ৭১ দিন আগামী বছরের জন্য ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শবে বরাতের ছুটি নির্ধারণ হবে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে। এর বাইরে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সংরক্ষিত তিনদিন ছুটি নির্ধারিত রয়েছে।
এ ছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দিবসটি উদযাপন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে। বার্ষিক পরীক্ষা ১৬ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে শেষ করা হবে। এ ছাড়া দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ১৫ মে শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে।
#ডেইলি-বাংলাদেশ