কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। বাল্য বিয়ের পিড়িতে বসতে যাওয়া সাড়ে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী থানাহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি বালিকা স্কুলের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (২৯ আগষ্ট) রাতে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নে ছোট কুষ্ঠারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান। এসময় বিয়ের বাড়ির আত্মীয় স্বজনরা প্রশাসনের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে পরে একই ইউনিয়নের পূব মাচাবান্ধা এলাকায় বর পক্ষের বাড়িতে ইউএনও গেলে ছেলে পালিয়ে যায়। পরে ছেলের বাবা-মা এবং এর আগে মেয়ের বাবা- মা এর অঙ্গিকারনামায় বাল্যবিয়ে দিবে মর্মে লিখিত নিয়ে সাবধান করে দিয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে আমি ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেছি। কিশোরীর অবিভাবক ও ছেলের বাড়িতে গিয়ে অবিভাবক কাছ থেকে তারা তাদের ছেলে মেয়েদেরকে বাল্য বিয়ে দেবেন না এই মর্মে অঙ্গিকার নামা নেয়া হয়েছে।