যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো প্রবাসী শেরপুরবাসীদের জমজমাট বনভোজন।
শনিবার (৩১ জুলাই) নিউইয়র্কস্থ শেরপুর জেলা সমিতি আয়োজিত ওই বনভোজনে শতশত প্রবাসী শেরপুরবাসীসহ তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিভিন্ন জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও অংশ নেন।
শুরুতেই বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও শেরপুরের কৃতী সন্তান সাংবাদিক আবুল কাশেম।
নিউইয়র্কের অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌর্দয়ের সজ্জিত লং আইল্যান্ডের সানকেন মেডো স্টেট পার্কে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এই পিকনিকের কর্মসূচিতে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোশিয়েশনের (জেবিবিএ) প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, সম্মানিত অতিথি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব (অব) একেএম বদরুল মজিদ, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বনভোজনের উদ্বোধক সাংবাদিক আবুল কাশেম, সংগঠনের সভাপতি রাশেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সাদী, প্রধান সমন্বয়কারী ছাবেরা জামান চৌধুরী, ড. বিরুপাক্ষ পাল, সাংবাদিক লাবলু আনসার, ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিফ, আবাসন ব্যবসায়ী মোর্শেদা জামান, আহ্বায়ক শহিদুল আলম শাহীন, সদস্য সচিব রেখা বেগম ডলি, যুগ্ম আহ্বায়ক ছামেদুল হক ঝন্টু, যুগ্ম সদস্য সচিব অলিভার চৌধুরী (নাইছ), বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ছামেদুল হক ঝন্টু প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আবুল কাশেম বলেন, আজ এই বনভোজনে শেরপুরবাসী একসঙ্গে মিলিত হয়েছি। এই রকম আরও বেশি দেশীয় সংস্কৃতির অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করে নতুন প্রজন্মের কাছে শেরপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা খুবই জরুরি। তাই প্রবাসে শেরপুর জেলার ইতিহাস প্রচার ও উন্নয়্নের জন্যও প্রবাসী শেরপুরবাসীকে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতি মামুন রাশেদ বনভোজনে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের কল্যাণের পাশাপাশি নিউইয়র্কের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকেও শেরপুরবাসী সমৃদ্ধ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এর জন্য তিনি নিউইয়র্কের সব শেরপুরবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বনভোজনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব ছিল পুরুষদের চোখ বেঁধে হাঁড়িভাঙা, মহিলাদের বালিশ খেলা ও র্যাফেল ড্র। এতে ল্যাপটপ, সোনার চেইন, টিভিসহ ২১টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পী কৌশলী ইমাসহ প্রবাসী শেরপুর জেলার শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।