মধ্যরাতে মহাসড়কে ছিনতাইয়ে অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি সভায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত আল আমিন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নওগাঁর মহাদেবপুর থানার কালনা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে। এর আগে মহাসড়কে ছিনতাইয়ের পর ক্যাম্পাসে অস্ত্রসহ আটক আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের কর্মী বলে জানা গেছে।
এর আগে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গত ১৮ জুলাই মধ্যরাতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়কে এক ট্রাক ড্রাইভারের থেকে পাঁচ হাজার টাকা ও ট্রাকের চাবি ছিনতাই করে কাব্য ও আল আমিন। এছাড়া গাড়ির কাভারের তালা খুলে দুটি তেলের কন্টেইনারও বের করে তারা। পরে লোকজন জড়ো হলে তেল রেখে টাকা ও ট্রাকের চাবি নিয়ে সেখান থেকে চলে যায় তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে, আল আমিনকে বহিষ্কারপূর্বক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে দেশরত্ম শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শামসুল আলমকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবর্দী খানকে সদস্য সচিব ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামানকে কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।