প্রথম বাঙালি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কে-টুর শিখরে পা রাখলেন বাংলাদেশের তরুণী ওয়াসফিয়া নাজরীন। বাঙালি কন্যা হিসেবে রেকর্ড গড়লেন তিনি। এর আগে এই শৃঙ্গে কোনো বাঙালি পা রাখেননি।
কারণ পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুমোদন পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত এই সুযোগ পেয়েছিলেন ওয়াসফিয়া। তবে ভারতীয়দের পক্ষে সম্ভব না। কারণ তাদের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
গত ১৭ জুলাই রাতে কে-টুর চূড়ায় উঠার জন্য যাত্রা শুরু করেন ৩৯ বছর বয়সী ওয়াসফিয়া নাজরীন। রেনেটা লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিখ্যাত ৩ পর্বতারোহী- মিংমা তেনজি শেরপা, মিংমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজা।
সেদিন এক ফেসবুক পোস্টে ওয়াসফিয়া নাজরীন বলেন, আমরা আজ রাতে নিমসদাই, মিংমা তেনজি শেরপা এবং মিংমা ডেভিড শেরপার নেতৃত্বে কে-টুর জয়ের জন্য যাত্রা করছি। সব ঠিকঠাক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই সুখবর আসবে। কোনো খবর না থাকলেও, ভালো আছি জানবেন। আমি সবচেয়ে শক্তিশালী দলের সঙ্গে আছি তাই চিন্তা করবেন না। শুধু আমার জন্য জোর প্রার্থনা করবেন। আপনাদের সবার জন্য ভালোবাসা…
কারাকোরাম পর্বতমালার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে-টু। এভারেস্টের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত এটি। বিশ্বে ৮ হাজার মিটারের বেশি উঁচু যতগুলো পর্বত রয়েছে তার মধ্যে ৫টিই পাকিস্তানে। এগুলোকে আরোহন করা যেকোনো পর্বতারোহীর জন্যই চূড়ান্ত কৃতিত্বের।
উচ্চতায় এভারেস্টের পর হলেও পর্বতারোহীদের কাছে সবচেয়ে কঠিন ও বিপজ্জনক পর্বত কে-টু। ১৯৫৪ সাল থেকে মাত্র ৪২৫ জন এটির চূড়ায় উঠেছেন, যার মধ্যে ২০ জন নারী।
শুক্রবার (২২ জুলাই) ওয়াসফিয়া নাজরীনের সঙ্গে কে-টু জয় করেছেন ইরানি আফসানেহ হেসামিফার্ড, লেবানিজ-সৌদি নাগরিক নেলি আত্তার ও পাকিস্তানের নাগরিক সামিনা বেগ।
তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে কে-টু জয় করেছেন।