বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বন্যাসহ যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যেোগে মানুষের পাশে ছিল থাকবে মানুষের অধিকার আদায়েও ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ মানুষের পাশে আছে। শেরপুর জেলার সাধারণ মানুষের পাশেও ওয়ার্কার্স পার্টি পাশে ছিল থাকবে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি শেরপুর জেলার উদ্যোগে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পূনর্বাসন কমিটি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি কলাবাগান শাখার সম্পাদক ফাতিমা নওরিনের সহায়তায় শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে নালিতাবাড়ীতে বন্যার্তদের মধ্যে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণের ভার্চূয়ালি উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শেরপুর জেলার ইনচার্জ মোস্তফা আলমগীর রতন এ কথা বলেন।
এই ত্রাণ বিতরণে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি শেরপুর জেলার সম্পাদক কমরেড রাজিয়া সুলতানা। উদ্বোধনী বক্তব্যে মোস্তফা আলমগীর রতন আরো বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় বন্যাসহ অনেক প্রাকৃতিক দূর্যোগ আমাদের মোকাবেলা করতে হয়। যে কোন দূর্যোগে তাই ওয়ার্কার্স পার্টি মানুষের পাশে ছিল থাকবে। তিনি বলেন করোনাকালে কমরেড আবুল বাশার ব্রিগেডের নেতৃত্বে শেরপুরের দরিদ্র মানুষের মধ্যে লাগাতার সেবা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি শেরপুর জেলা, জেলার খেতমজুর ইউনিয়ন, জাতীয় কৃষক সমিতি, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুবমৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এ কাজে সহযোগিতা দিয়েছে। করোনা থেকে শুরু করে বন্যা পর্যন্ত মানুষের পাশে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত আছে থাকবে।
মোস্তফা আলমগীর রতন বলেন শেরপুর জেলার সাধারণ মানুষের পাশে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি শেরপুর জেলার সম্পাদক কমরেড রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে পার্টি সবসময় যে কোন প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাবে। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি শেরপুর জেলার সম্পাদক বলেন, আমরা শ্রমিক কৃষক খেতমজুর ও ছাত্র যুবদের নিয়ে করোনাকাল থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের পাশে আছি, থাকবো। তিনি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন ওয়ার্কার্স পার্টি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্বিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সুযোগ দেয়ার জন্য।
এতে বিভিন্ন উপজেলা ও গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি শেরপুর সদর উপজেলার সম্পাদক হুমায়ূন কবীর খোকন, নালিতাবাড়ী উপজেলার সদস্য রিতা রানী পাল, নকলা উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সদস্য আলমাস শেখ ও খাজা মিয়া, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের শেরপুর জেলার সভাপতি মনোয়ারা খাতুন লিলি, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক ছফুরা বেগম, বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়ন নালিতাবাড়ী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নিরব, বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর জেলা সদস্য রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর জেলা সদস্য সেজান আহমেদ বাঘবেড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার হামিদুল ইসলাম হারুন, বাঘবেড় ইউনিয়নের খেতমজুর নেতা রফিকুল ইসলাম ও ফজল মিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।