নেত্রকোনার তিন উপজেলায় পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কলমাকান্দার একজন, দুর্গাপুরের একজন ও পূর্বধলার একজন রয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মে) ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক তিনটি ঘটনা ঘটে।
কলমাকান্দা উপজেলার বাঘসাত্রা গ্রামের মুখলেছুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ (আড়াই বছর), দুর্গাপুরের গাওকান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক সাইদুল ইসলামের ছেলে মাহিন (৪) ও পূর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মেঘশিমূল গ্রামের মো. আইন উদ্দিনের মেয়ে পূর্ণিমা আক্তার (১০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বসতঘরের বারান্দায় খেলা করছিল। একপর্যায়ে শিশুটি পরিবারের অজান্তে পাশের একটি গর্তে জমে থাকা পানিতে পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির পর রাত ৮টার দিকে তার দেহ উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একই দিন দুপুরে শিশু মাহিনকে নিয়ে তার মা একই গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। বিকেলে খেলাধুলার একপর্যায়ে সবার অগোচরে শিশুটি বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির করে স্বজনরা মাহিনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে ওই দিন সন্ধ্যায় পূর্ণিমা বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে গাছে উঠে পেয়ারা পাড়তে যায়। কিন্তু অসাবধানতাবশত মেয়েটি গাছ থেকে পড়ে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজন পানি থেকে ডুবন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথক জায়গায় তিন শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছেন।